জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দায়ের
বাগেরহাটের চিতলমারীতে উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রী কর্তৃক মহিলা মেম্বর লাঞ্চিত
স্টাফ রিপোর্টার, সৈকত মন্ডল:
ভিজিএফ কার্ড বিতারনে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতি করার প্রতিবাদ করায় জনসস্মুখে কবিতা রানা নামের একজন সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য ও মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রীকে লাঞ্চিত করেছেন বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা পরিষদের
চেয়ারম্যান আশোক বড়াল ও তার স্ত্রী উপজেলার চরবানিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অর্চনা দেবী বড়াল ওরফে ঝর্না।এসময় জনপ্রতিনিধি বড়াল দম্পত্তি কবিতা রানাকে জুতা দিয়ে পেটায়।
এ ঘটনায় বিচার চেয়ে ক্ষুব্দ মহিলা ইউপি সদস্য কবিতা রানা সোমবার বাগেরহাট জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক বরাবরে অভিযাগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি নিয়ে গোটা চিতলামারী উপজেলায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে
দাখিলকৃত ওই অভিযোগে বলা হয়, চিতলমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের স্ত্রী অর্চনা দেবী বড়াল ঝর্না স্থানীয় চরবানিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদে বিনাভোটে হওয়া চেয়ারম্যান। এর আগে এ ইউনিয়নে তার স্বামী অশোক বড়াল চেয়ারম্যান ছিলেন। ফলে ওই ইউনিয়নবাসীর জন্য সরকার প্রদত্ত যে সব সুযোগ সুবিধা আসে তার
অধিকাংশই তারা স্বামী-স্ত্রী মিলে অনৈতিকভাবে ভাগবাটোয়ারা করেন। আর বেশীরভাগ বরাদ্দতে স্বজন প্রীতি হয়। ওই ইউনিয়নের ৪. ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত সংরক্ষিত মহিলা মেম্বর ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক কবিতা রানা কে সকল সুযোগ -সুবিধা
থেকে বঞ্চিত করা হয়। মহিলা মেম্বরের ৩ ওয়ার্ডে ৬ জনের জন্য বরাদ্দ ৬ টি ভিজিএফ কার্ডের ২ টি বাতিল করে সরকারী চাকুরীজীবি পরিবারসহ যারা ভিজিএফ কার্ড পাওয়ার অযোগ্য তাদেরকে দেয়া হয়। গত ২৩ জানুয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের নির্ধারিত সভায় এর প্রতিবাদ করলে পরিষদে
উপস্থিত থাকা উপজেলা চেয়ারম্যান অশোক বড়াল ও তার স্ত্রী ইউপি চেয়ারম্যান অর্চনা দেবী ঝর্না কবিতা রানা কে জুতা দিয়ে মারপিট করে পরিষদ থেকে বের করে দেয়। এবং হুমকী দিয়ে বলে আমি যেন ইউনিয়ন পরিষদে না যাই। নির্যাতিত মহিলা মেম্বর ও মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী কবিতা রানা বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের
অনুকলে সরকারী বরাদ্দ বিতারনে চেয়ারম্যান সব সময়ই স্বজনপ্রীতি এবং অনিয়ম করে আসছেন। প্রতিবাদ করলে তাকে মারপিট সহ নানাধরনের হুমকী প্রদান করা হয়। আমাকে লাঞ্চিত করার ঘটনা আমি প্রথমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে জানিয়ে পরে জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার
শাখার উপ-পরিচালক বরাবর সোমবার অভিযোগ দিয়ে প্রতিকার দাবী করেছি। এ ছাড়া একই অভিযোগ আমি আমাদের আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন কে ও দিয়েছি।
অভিযোগের বিষয়ে চিতলমারী উপজেলা চেয়ারম্যন অশোক কুমার বড়াল বলেন আমি জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আমার বিরুদ্বে আমার প্রতিপক্ষ গ্রুপ এই মহিলাকে দিয়ে আমার বিরুদ্বে কুচ্ছা রটাচ্ছে। এধরনের কোন ঘটনা এপরিষদে ঘটেনি।
ঐ নারী যে তারিখ ও সময়ের কথা বলছে সে সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও স্থানীয় সরকার শাখার উপ পরিচালক চরবানিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শনে এসেছিল। আদৌও এঘটনা সত্য না মিথ্যা বানোয়ার্ড।