নরসিংদীতে বোনকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় ভাইসহ চার জনকে রক্তাক্ত জখম
নরসিংদী প্রতিনিধিঃ
নরসিংদী সদর উপজেলার নুরালাপুর ইউনিয়নে চার জনকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করার ঘটনা ঘটেছে।ঘটনার বিবরণে জানাযায়, শ্যামতলী গ্রামের আনোয়ার হোসেন এর ছোট মেয়ে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় ৫ম শ্রেনীর ছাত্রী। মেয়েটি মাদ্রাসায় আসা যাওয়ার পথে একই গ্রামের বখাটে হৃদয় তার মোবাইলে টিকটকের বাহানায় ভিডিও ধারন করে আসছে।
মেয়ে বাড়িতে এসে বিষয়টি জানালে মেয়ের ভাই জাহিদ তাদের নামে স্থানীয় লোকজনকে জানালে বখাটে হৃদয় ও সঙ্গিরা ক্ষিপ্ত হয়ে ২০ জুলাই রাত আনুমানিক ৯ ঘটিকায় আনোয়ারের বাড়িতে প্রবেশ করে আনোয়ারের ছেলে জাহিদ(১৯), বাদির ছোট ভাই দেলোয়ার হোসেন(৩৪) ও বিল্লাল হোসেন(৪০),
বাদির স্ত্রী তাসলিমা আক্তার(৪০) এবং বাদি আনোয়ার(৫৬) কে বেধড়ক মারপিট ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। যার মধ্যে দেলোয়ারের মাথায় ২৪টি সেলাই লাগে, বাকিদের শরীরে নিলাফুলা জখম রয়েছে। এসময় ঘরের জিনিসপত্র ভাংচুর করে নগদ দুই
লক্ষ দশ হাজার টাকা ও আড়াই ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। তাদের ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসতে থাকলে হামলাকারী তারা মিয়ার ছেলে কাদির মিয়া(৫০), ওয়াজ উদ্দিনের ছেলে রিপন মিয়া(২১), ইয়াছিন মিয়া(২৩) ও হৃদয় মিয়া(১৯),
ওয়াজ উদ্দিন এর মেয়ে বিলকিছ(২৬), আমির হোসেনের ছেলে শাহাদাত হোসেন(২৫), এমরান মিয়ার ছেলে হৃদয়(২৬) সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫জন আহতদের প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য বাতেন মিয়াকে জানালে তিনি সামাজিক ভাবে বসে মিমাংসা করে দিবে বলে আশ্বাস দেন।
পরক্ষনেই আনোয়ার আহতদের চিকিৎসা খরচের জন্য পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়ে হাসপাতাল যাওয়ার পথে ভূইয়া সাইজিং মিলের সামনে পৌছালে আগে থেকে উৎপেতে থাকা হামলাকারীরা আনোয়ারকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে সাথে থাকা টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
পরবর্তিতে বিষয়টি আবারো ইউপি মেম্বারকে জানালে তিনি থানায় গিয়ে মামলা করার পরামর্শ দেন। উক্ত ঘটনায় মাধবদী থানায় আনোয়ার হোসেন বাদি হয়ে অভিযোগ দায়ের করলেও কোন আসামী পুলিশ আটক না করায় আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করে বাদিসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নানাভাবে হুমকি প্রদান করছে। এত করে পরিবারটি আতংকের মধ্যে দিনাতিপাত করছে।