নাটোরে ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু
এ জেড সুজন মাহমুদ,
নাটোর জেলা প্রতিনিধি:
নাটোরের লালপুরের অর্জুনপুর-বরমহাটি (এবি) ইউনিয়নের আঙ্গারিপাড়া রেলগেটের নিকট মোসা. খালেদা বেগম রশিদা (৩০) নামে এক নারী ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছেন বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (২৪ মার্চ ২০২৩) ভোর সোয়া ৪টার দিকে ঢাকা থেকে দিনাজপুর চলাচলকারী একতা এক্সপ্রেস ট্রেনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নারী এবি ইউনিয়নের অর্জুনপুর গ্রামের মো. আমিরুল ইসলাম টেনুর স্ত্রী।
তিনি প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের খাদ্য পণ্যের (চিড়া) একজন বিক্রয় কর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শফিক আল রাজী বলেন, শুক্রবার ভোর সোয়া ৪টার দিকে উপজেলার এবি ইউনিয়নের
আঙ্গারিপাড়া রেলগেটের নিকট মোসা. খালেদা বেগম রশিদা নামে এক নারী ট্রেনে কাটা পড়ে মারা ঢাকা থেকে দিনাজপুর চলাচলকারী একতা এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের শরীর বিচ্ছিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
আজিমনগর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান নয়ন বলেন, এ বিষয়টি তিনি কিছুই জানেন না। স্টেশনের কার্যক্রম চালুর পর এক শিফট (সকাল ৮ থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত) তিনি দায়িত্ব পালন করছেন।
এবি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা আসলাম বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে শুক্রবার ভোরে প্রতি দিনের ন্যায় ভোরে কর্মক্ষেত্র যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। পরে ঢাকাগামী একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলে ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ট্রেনে কাটা পড়ে মরদেহ
ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ বা কোন দাবি না থাকায় লাশ দাফনের অনুমতি দিয়েছে পুলিশ।
ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার পুলিশের (জিআরপি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিহির রঞ্জন দেব বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেলে পুলিশ
মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জিআরপি থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে। বিচ্ছিন্ন লাশ ময়নাতদন্তের পরিস্থিতি না থাকায় পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।