তাজিমুল ইসলাম সোহেল (খুলনা)
বাংলাদেশের বৃহৎ সামাজিক আন্দোলন নিরাপদ সড়ক চাই এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ‘সড়ক যোদ্ধা’ চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন আমাদের অনুপ্রেরণার বাতিঘর। এযাবৎকাল যতজন নাট্য বা চলচ্চিত্র কুশীলব রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা-
একুশে পদক পেয়েছেন, তাদের মধ্যে সকলেই নাট্যকলা বা অভিনয় শিল্পী হিসেবে পদকটি পেয়েছেন। ব্যতিক্রম কেবল ইলিয়াস কাঞ্চন। দীর্ঘ চার যুগের সমৃদ্ধ চলচ্চিত্রে ক্যারিয়ার থাকার পরেও তিনি একুশে পদক পেয়েছেন সমাজসেবায়।
আসলে আমরা শুধু সফলতার শীর্ষে থাকা কোনো ব্যক্তি কিংবা প্রিয় মানুষকেই বিবেচনা করি। কিন্তু কিভাবে তিনি শীর্ষত্ব পেলেন সে গল্প অনেকেরই অজানা বা কেউ হয়তো জানতেই চায় না। বুকে কষ্ট ধারণ করে চলা চলচ্চিত্রের এক সুখী মানুষের নাম ইলিয়াস কাঞ্চন। তার হারানো অনেক কিছু আছে।
প্রতিদানে হয়েছেন ‘ইলিয়াস কাঞ্চন’।
আমরা আজ গর্ব করেই বলতে পারি আমাদের অনেক মেগা স্টার আছে কিন্তু একজন মাত্র ইলিয়াস কাঞ্চন আছেন। অভিনয়ে খ্যাতির চূড়ায় থেকে আবার শুরু করেন কষ্টে ভরা একটি সংগঠন, ‘নিরাপদ সড়ক চাই’। বছরের পর বছর ধরে কাজ করে
যাচ্ছেন মানুষের জন্য। যে মানুষটা অন্তত চার যুগের কাছাকাছি সময় আলোকিত করে রেখে আসছিলেন বাংলাদেশী চলচ্চিত্রকে। দীর্ঘ ২৯ বছর নীরবে কাজ করে আসছেন মানুষের জন্য সড়কে সড়কে।
মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রিয়তমা স্ত্রী
জাহানারা কাঞ্চনকে হারিয়ে শত বাধা, কষ্ট আর অসহনীয় যন্ত্রণা বুকে জমা রেখে যদি ইলিয়াস কাঞ্চন মানুষের জন্য কাজ করে আসতে পারেন, আপনি আমি কি পারি না
তার কাজ, তার হাতকে বেগবান, আরো শক্তিশালী করতে? চলুন না, তার হাতকে শক্ত করি। আমরাও সহভাগী হই। শিখি, চলতে চলতে বলতে আর দেখতে দেখতে হয়তো একটা সময় তার যোগ্য সহচর হবো। ইনশাআল্লাহ।