নেত্রকোণায় বন্যহাতির তাণ্ডবে দিশেহারা পাহাড়ি জনপদের মানুষ, নিহত ০১, ৩৫ ঘর-বাড়ি লন্ডভন্ড

জাহাঙ্গীর আলম, নেত্রকোণা প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোণার গারা পাহাড়ি জনপদর মানুষ এক সপ্তাহ ধরে বন্যহাতির তান্ডব দিশহারা হয় পড়েছেন। সন্ধ্যা থেকে রাতভর চলে হাতির আক্রমন। এরই মাঝে হাতির হামলায় একজন নিহত বহু বাড়ি-ঘর লন্ডভন্ড ছাড়াও ধান ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হাতি থেকে বাঁচতে এলাকার মানুষ রাতজেগে পাহারা দিয়ে আতংকের মাঝ দিন কাটাচ্ছেন তারা। এ অবস্থায় জীবনের নিরাপত্তা ও ক্ষতিগ্রস্তরা আর্থিক সহযাগিতা চেয়েছেন প্রশাসনের কাছে। প্রশাসন বলছেন তারা এলাকাবাসির পাশে রয়েছেন।

ভারতীয় মেঘালয় রাজ্যের সীমানাবর্তী গারা পাহাড়ি এলাকা নেত্রকাণার দুর্গাপুর উপজেলার কুল্লাগড়া ও সদর ইউনিয়নের আড়াপাড়া, বিজয়পুর ও ভবানীপুর গ্রামসহ বেশ কয়কটি গ্রাম বন্য হাতির দল তান্ডব চালিয় ফসল ও ঘর-বাড়ির ব্যাপক ক্ষতি সাধন করছে। ইতিমধ্য সন্ধ্যার পর থেকে মেঘালয়র পাহাড় থেকে বাংলাদশর অভ্যান্তরে নেমে আসা হাতির দল ৩৫ টি ঘর-বাড়ির গুড়িয় দিয়েছে এবং বহু জমির ফসল ও বাড়ির ধান খেয়ে সাবাড় করে দিয়েছে। হাতির পায় পিষ্ট হয় মারা গেছেন পশ্চিম বিজয়পুর গ্রামর কৃষক বুনশ রিছিল।

হাতির তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলার মধ্যে কেউ খোলা আকাশের নীচে, আবার কেউ কেউ ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। শীতের রাত শিশুদর নিয়ে রাস্তায় দিন কাটাচ্ছেন। এ অবস্থায় সেখানের শিশু ও নারীরা পড়েছেন বিপাকে। বন্য হাতির দল সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অবস্থান করে সন্ধ্যা হলেই নেমে আসছে লোকালয়ে। ভয় আতঙ্কগ্রস্ত জীবনের ঝুঁকি নিয় মশাল জালিয় ফসল ও বাড়ি ঘর রক্ষার চেষ্টা করছে এলাকাবাসী।

এমতাবস্থায় হাতীর আক্রমন থেকে উপজলাবাসীক বাঁচাতে এবং ক্ষতিগ্রস্থদের আর্থিক সহায়তা প্রদানসহ প্রয়াজনীয় পদক্ষপ ব্যবস্হা গ্রহণ করবে দ্বায়িত্বশীলরা। এমনটাই প্রত্যাশা দূর্গাপুরবাসীর।
এব্যাপার দূর্গাপুর উপজলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব-উল-আহসান বলন, ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে তারা ত্রাণ সহায়তাসহ নিরাপত্তা বিধান সচতনতা কাজ চালাচ্ছেন তারা।
দূর্গাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান জানাতুল ফেরদৌস ঝুমা জানান, স্ানীয় ক্ষতিগ্রস্থদের নিরাপদ আশ্রয় দেয়াসহ প্রয়াজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।
 
			 
		     
					







