পটুয়াখালীতে ইলিশের প্রজনন মৌসুমে নিষেধাজ্ঞা পেছানোর দাবীতে আড়তদার সমিতির সংবাদ সম্মেলন
জেলা প্রতিনিধি ও নিজেস্ব প্রতিবেদক,সত্যকন্ঠ:
মাা ইলিশের পেটে এখনো ডিম আসেনি। উপকূল কিংবা নদী মোহনায় এখনো দেখা মিলছেনা প্রজননক্ষম ইলিশের। ফলে ইলিশ প্রজননের যে মৌসুম মৎস্য অধিদপ্তর নির্ধারণ করেছে তা সঠিক নয়। এমন বাস্তবতায় ইলিশের প্রজনণ মৌসুমের নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা পেছানোর দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে পটুয়াখালীর মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের আড়তদার মালিক সমিতি ।
মঙ্গলবার বেলা এগারোটায় সমিতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সভাপতি দিদার উদ্দিন আহম্মেদ মাসুস। এসময় উপস্থিত ছিলেন সমিতির সাধারন সম্পাদক রাজু অহম্মেদ রাজা, সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস রেজা, মজনু গাজীসহ মৎস্য আড়তদাররা।
সংবাদ সম্মেলনে আড়তদার সমিতির নেতৃবৃন্দ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভবে গভীর সমুদ্রের মাছ ইলিশের জীবন ধারায় পরিবর্তন এসেছে। মৎস্য অধিদপ্তরের দেয়া সময়সীমার সাথে মিলছে না। দেরীতে মা ইলিশ প্রজনণ হচ্ছে। এই বাস্তবতার আলোকে ২২ অক্টোবরের পরিবর্তে ৩০ অক্টোবর থেকে ইলিশের প্রজনণ মৌসুম নির্ধাারন করার দাবি করছেন তারা। অন্যথায় সরকারের মৎস্য সম্পদ রক্ষায় যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তা ভেস্তে যাবে।
মৎস্য আড়তদার এবং জেলেদের দাবি ভারতীয় সমুদ্রে ইলিশ ধরা পড়ছে না। যার কারনে নিষেধাজ্ঞাকালীন ভারতীয় জেলেরা অবাধে বঙ্গোপসাগর থেকে ইলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। ভারতীয় জেলেদের রুখতে না পারলে আগামী ৫ বছর পর ইলিশ শুন্য হয়ে পড়বে বঙ্গোপসাগর। কর্মহীন হয়ে পরবে লাখো জেলে পরিবার। 
উল্লেখ্য, প্রতি বচরের ন্যায় এ বছরও সরকার ১২ অক্টোবর থেকে ইলিশের প্রজনন মৌসুমের জন্য ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।