নিজস্ব প্রতিবেদক : পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর থানার লতাচাপলী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ফজলুর রহমান (৫২) নামের এক ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে ফজলুর রহমান কলাপাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর বারোটার দিকে আলীপুরের থ্রি পয়েন্ট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার ফজলুর রহমান জানান, প্রায় ২ বছর আগে ইউসুফের বড় মেয়ের সঙ্গে আমার ছোট ভগ্নিপতি সিদ্দকুর রহমানের ছেলের প্রেমের সম্পর্কে গড়ে ওঠে। তখন আমি বিদেশে ছিলাম। পরে এলাকায় এসে সিটি গ্রুপের সঙ্গে ডিলারী ব্যবসা শুরু করি। এঘটনা নিয়ে ইউসুফ আমার বোন ফাতেমা ও ভগ্নিপতি সহ আমাদের নামে অন্তত ১০ টি মিথ্যা মামলা করেছে। এছাড়া বেশ কয়েকবার আমাকে তারা আলীপুর বাজারে বসে হুমকি ধামকি দিয়েছে। বর্তমানে ছেলে এবং মেয়ে কোথায় রয়েছে আমরা কিছুই জানিনা। মঙ্গলবার আমি আলীপুরের থ্রি পয়েন্ট এলাকায় আসলে সাবেক ইউপি সদস্য ইউসুফ, তার ভাই ইউনুছ, হারুন, জলিল, সেকান্দার মোল্লা ও আল-আমিন মারধর শুরু করে। এক পর্যায় ইউসুফ বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মাধধর করেন এবং আমার মাথায় আঘাত করেন। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করে।
প্রত্যক্ষদর্শি জাকির মল্লিক জানান, আমি থ্রি পয়েন্ট এলাকায় ছিলাম। এসময় সাবেক মেম্বর ইউসুফ কম্পানী ও তার ভাই ইউনুচ সহ ৫/৬ জন হঠাৎ ফজলুর রহমানের উপর হামলা চালায়। তাকে ইচ্ছে মতো মারধর করে। আমি মারধর থামাতে গিয়েও তাদের সঙ্গে পারি নাই। আমরা যা জানি, যখন ইউসুফ কোম্পানীর মেয়ে ও সিদ্দিকের ছেলে প্রেমের সম্পর্কে জড়ায় তখন তো ফজলুর রহমান বিদেশে ছিলো। তাকে অহেতুক মারধর করা হয়েছে।
ফজলুর রহমানের ছোট বোন ফাতেমা বেগম জানান, আমার ছেলের সঙ্গে সাবেক মেম্বর ইউসুফের মেয়ে সম্পর্কে জড়ায়। এ বিষয়ে আমরা কিছুই জানিনা। এ ঘটনায় গত বছর মেম্বর ইউসুফ আমাদের বাড়িঘর ভাংচুর করে। আমার স্বামী সিদ্দিকুর রহমান হাওলাদার বর্তমানে তাদের ভয়ে ঘর থেকে বের হতে পারছেনা। আমরা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।
কলাপাড়া হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার জেএইচ খান লেলিন জানান, মঙ্গলবার ফজলুর রহমানকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। তার মাথা ফেটে যাওয়ার কারনে একাধিক সেলাই লেগেছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি নেয়া হয়েছে।
লতাচাপলী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ইউসুফ কোম্পানী জানান, এবিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। তবে আওয়ামীলীগের দুই ছেলে তাকে মারধর করেছে এটুকুই আমি জানি।
মহিপুর থানার ওসি ফেরদৌস আলম জানান, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।