স্টাফ রিপোর্টার:
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দায়িত্ব অবহেলার কারনে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে হাজার হাজার কৃষক।উপজেলার ৮ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌর সভায় দায়িত্ব পালন করছেন ২৭ জন উপসহকারী কৃষি
কর্মকর্তা, ৩ জন কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার ও ১ জন কৃষি অফিসার।এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন শতশত কৃষক তাদের অভিযোগের শেষ নেই।
উপজেলা মহদীপুর ইউপি জাহাঙ্গীর আলম, বরিশালের আব্দল মান্নান,বেতকাপার খাদেম হোসেন, মনোহরপুরের খাজের আলী, হরিনাথপুরের আরশাদ আলী, কিশোরগাড়ীর মিলন মিয়া, নওশা মিয়া হোসেনপুর ইউপির তারা
মিয়া বলেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের তারা চেনেন না।কৃষি প্রনোদনা তো দুরের কথা তাদের ফসলের খোজ খবর পরামর্শ প্রদান পর্যন্ত তারা করেন না।অথচ কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে যেসব নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য
হলো(১)সকল শ্রেণির কৃষকদের জন্য সম্প্রসারণ সেবা নিশ্চিত করা(২) ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষির আধুনিক প্রযুক্তি সমুহ কৃষকের দোর গোড়ায় পৌছে দেয়া(৩) কৃষকদের মাঝে বীজ এবং সার বিতরণ নিশ্চিত করা(৪) ভিজিট
সিডিউল অনুসারে মাঠ পরিদর্শন, কৃষকের সমস্যা চিহ্নতকরণ ও সমাধান দেয়া(৫) জৈব ও রাসায়নিক সারের সুষম ব্যবহারের মাধ্যমে মাটির স্বাস্থ্য ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা।(৬) ফসলের বালাই দমনে পরামর্শ প্রদান করা(৭) কৃষকের
মাঠে নতুন ফসল, নতুনজাত এবং নতুন প্রযুক্তি সম্প্রসারণে প্রদর্শনী স্থাপন ও মাঠ দিবসের আয়োজন করা (৮)) বিভিন্ন কৃষি প্রযুক্তি বিষয়ে কৃষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান(৯) বিভিন্ন প্রকার সম্প্রসারণ পদ্ধির মাধ্যমে কৃষকদের মাঝে
সচেতনতা তৈরি করা(১০) ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে সরকারী প্রণোদনা/পুনর্বাসনে কৃষি উপকরণ বিতরণ নিশ্চিত করা(১১) ফসলের মানসম্মত বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণে কৃষকদের সহায়তা করা(১২) জৈবসার এবং জৈব
বালাইনাশক ব্যবহারের মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে কৃষকদের সহায়তা প্রদান(১৩) কৃষিপণ্য বিপণনে ক্রেতা ও কৃষকের মাঝে সংযোগ স্থাপনে সহায়তা প্রদান(১৪) সরকারী ভর্তুকিতে কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহারের মাধ্যমে
ফসলের উৎপাদন খরচ কমাতে সহায়তা করা(১৫) ফসলের বৈচিত্র্য আনয়নে এবং শস্যবিন্যাস উন্নতকরনে স হায়তা করা।১৬) দেশে উৎপাদিত অপর্যাপ্ত খাদ্যশস্যের (ডাল, তেল, মসলা) উৎপাদন বৃদ্ধি করা।(১৭) ব্যাংক কর্তৃক
প্রদত্ত কৃষি ঋণ গ্রহণে কৃষকদের সহায়তা করা(১৮) জাতীয় পর্যায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে কৃষকদের ডাটাবেইজ তৈরি করা(১৯)) পুষ্টি উন্নয়নে বসতভিটায় ও ছাদে সবজি ও ফল বাগান সৃজনে সহায়তা করা(২০) মোবাইল অথবা টেলিফোনের মাধ্যনে কৃষকে ডিজিটাল সেবা
প্রদান করা(২১) লিফলেট, বুকলেট, মাঠদিবস ও মাঠ পরিদর্শনের মাধ্যমে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া(২২) উচ্চমূল্যের ফসল উৎপাদনে কষৃকদের সহায়তা করা।(২৩) বানিজ্যিক ফল ও সব্জি উৎপাদনে কৃষকদের উৎসাহিত করা(২৪) নিজস্ব
সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষকদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে সহায়তা করা(২৫) আইপিএম, আইসিএম, এবং অন্যান্য পদ্ধতি ব্যবহার করে পরিবেশ বান্ধব কৃষি উৎপাদনে সহায়তা করা(২৬) কৃষি উপকরণ,
(সার, বীজ, বালাইনাশক ও চারাকলম) আমদানী ও বিপণনের লাইসেন্স প্রদান(২৭) বালাইনাশক, সার ও বীজ ডিলারের দোকান পরিদর্শনের মাধ্যমে ভেজাল কৃষি উপকরণ বিক্রয় রোধ করা(২৮) সরকারী ও বেসরকারী সংস্থার সাথে কৃষি উৎপাদনে আন্তঃসমন্বয় করা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মহদীপুর ইউপি উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মনোয়ারা বেগম বলেন কৃষকরা আমাদের অসুবিধার কথা না বললে আমাদের করনীয় কি থাকতে পারে। প্রণোদনা রাজনৈতিক শুপারিশ ও কৃষি কর্মকর্তা দিয়ে থাকেন।
পবনাপুর ইউপির দায়িত্ব প্রাপ্ত উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহানাজ বেগম বলেন কাজের অনেক চাপ সামাল দিতে গিয়ে অনেক কৃষকের সাথে আমার দেখা হয় না।তাই হয় তো আমাকে তারা চেনে না।আমার নাম ও জানে না।
বেতকাপা ইউপির খামার নড়াইল ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্যা বলেন অবৈধ সার কীটনাশকে বাজার সয়লাব কৃষি কর্মকর্তা ব্যাবস্থা না গ্রহণ করলে আমাদের করনীয় কিছুই নেই।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার হারুন বলেন আমি সারা দিন রিপোর্ট নিয়ে কম্পিউটারে ব্যাস্ত সময় পার করি।আমার পক্ষে মাঠে যাওয়ার সময় হয় না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাতেমা কায়সার মিশু বলেন আমি প্রতিনিয়ত জেলা মিটিং, বিভাগীয়, মিটিং এ ব্যাস্ত থাকি একা আমার পক্ষে সব কাজ করা সম্ভব হয় না।