পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ সত্য নয়- দাবি স্ত্রীর
মো: শামীম হোসেন জামালপুর প্রতিনিধি।
অতিরিক্ত অ্যাডিশনাল ডিআইজি মো.মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে জামালপুর পৌর শহরের ইদিলপুর মৌজার ডাকপাড়া এলাকায় জমি দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলনের পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছে ওই পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী নাসরিন জেবা সুমি। তিনি জানিয়েছেন এটা তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি, পারিবারিক বিষয়ে আমার স্বামী ওই পুলিশ কর্মকর্তার কোন সম্পৃক্ততা নেই।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌর শহরের মেডিকেল রোডে একটি রেস্টুরেন্টে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
পৌর শহরের বিল পাড়া এলাকার মৃত আব্দুল জব্বারের স্ত্রী নাদিরা জব্বার ও তার মেয়ে রংপুর রেঞ্জের অ্যাডিশনাল ডিআইজি মো.মিজানুর রহমানের স্ত্রী নাসরিন জেবা সুমি সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অ্যাডিশনাল ডিআইজি মিজানুর রহমানের স্ত্রী ও আব্দুল জব্বারের মেয়ে নাসরিন জেবা সুমি বলেন, ‘এসএম মোরশেদ আলম কনক তাঁর ছোট ভগ্নিপতি সাবেক এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রীর পিএস উপ-সচিব (বর্তমানে ওসডি) ফারহান শফিকুর রহমান বেআইনীভাবে প্রভাব খাটিয়ে মোকাদ্দমা চলমান থাকাবস্থায় জামালপুর এলএ শাখা থেকে অধিগ্রহনের ক্ষতিপূরণের ১ কোটি ৩৯ লাখ টাকা উত্তোলন করেছেন বলে অভিযোগ করেন।
এছাড়া ওই সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ডাকপাড়া এলাকার যে জমিটি দাবি করে এসএম মোরশেদ আলম কনক সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সেই জমিটি আমার দাদা নূরল হক সরকার ১৯৫২ সালে আমার বাবা এসএম আব্দুল জব্বার ও কনকের বাবা এসএম তৈয়বুর রহমানের নামে কিনেছিলেন। সেই সময় আমার বাবা ও কনকের বাবা নাবালক ছিলেন। পরে ১৯৮৮ সালে পারিবারিকভাবে পৈত্রিক জমি বন্টন করলে ফসল না হওয়ার কারনে সেই জমি নিতে অনীহা প্রকাশ করেন। সেই জমির পরিবর্তে সাহাপুর মৌজা ও কৃষ্ণচরণপুর মৌজার জমি গ্রহন করে ভোগদখল করেন। সেই মতে কনকের বাবা মরহুম তৈয়ব জমি বিক্রি করে দেন। পরে ওই জমির উপর দিয়ে রাস্তা ও গ্যাস লাইন যাওয়া জমির দাম বেড়ে গেলে ২০১৭ সালে ডিজিটাল জরিপ আসলে ওই জমি দাবি করে বসেন। এ নিয়ে পারিবারিকভাবে অনেক বৈঠক হলেও কোন সুরহা হয়নি। ডাকপাড়ার জমির পরিবর্তে কনকের বাবা তৈয়ব দুই মৌজার তিন দাগে জমি নিয়ে বিক্রি করে দিয়েছেন। সেই জমির ক্ষতিপূরণ না দিয়ে তো তারা এই জমির দাবি করতে পারেন না।
তিনি আরো জানান, ওই জমি কনকের বাবা তৈয়ব না নেওয়ায় পারিবারিক বন্টনে এসএম আব্দুল জব্বার ও এসএম আব্দুল হালিম নিয়ে বিআরএস রেকর্ড করে ভোগদখল করছেন। এই তাদের কোন দিনও দখলে ছিল না। তাহলে আমার স্বামীর প্রভাব খাটিয়ে কিভাবে দখল করেছে। আর এটা আমাদের পারিবাকি বিষয় এখানে আমার স্বামী রংপুর রেঞ্জের অ্যাডিশনাল ডিআইজির কোন সম্পৃক্ততা নেই।
অভিযুক্ত সাবেক এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রীর পিএস উপ-সচিব (বর্তমানে ওসডি) ফারহান শফিকুর রহমান সরিষাবাড়ি উপজেলার বাউশী বাজার এলাকার বাসিন্দা।