বঙ্গোপসাগর থেকে ৩১ জেলেসহ ভারতীয় দুটি ট্রলিং বোট আটক করেছে নৌ বাহিনী
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশের জলসীমায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ৩১ জেলেসহ ভারতীয় দুটি ট্রলিং জাহাজ আটক করেছে নৌবাহিনী। বাংলাদেশে মৎস্য শিকারে নিষেধাজ্ঞা থাকাকালে ভারতীয় ট্রলিং জাহাজ বাংলাদেশের সমুদ্র সীমায় অনুপ্রবেশ করে মাছ ধরে নিয়ে যান ভারতীয় জেলেরা।
জেলেদের এমন অভিযোগ ছিল দীর্ঘদিনের। মৎস্য শিকারে নিষেধাজ্ঞার তিন দিনের মাথায় ভারতীয় জাহাজ দুটি আটক হওয়ায় বাংলাদেশী জেলেদের মাঝে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আত্মবিশ্বাস ফিরেছে।
মঙ্গলবার বিকালে নৌ-বাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ বিএনএস শহীদ আকতার উদ্দিন নিয়মিত অভিযান পরিচালনাকালে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর থেকে তাদের আটক করে।
আটককৃতদের বাড়ী ভারতের চব্বিশ পরগনা জেলার বিভিন্ন গ্রামে। বুধবার সকাল দশটায় পায়রা বন্দরের জেটি এলাকায় এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনএস শহীদ আকতার উদ্দিন জাহাজের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মসিউল ইসলাম।
তিনি বলেন, আটককৃত জেলেদের কলাপাড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য মা ইলিশ রক্ষায় ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত সাগর ও নদীতে ২২ দিনের মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সরকার।
আরো পড়ুন–
কুয়াকাটায় যুবদল নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে সংবাদ সম্মেলন।
নিজস্ব প্রতিবেদক:
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পৌর যুবদল নেতা নজির আকন স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০ টায় কুয়াকাটা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এসময় কুয়াকাটা পৌর যুবদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী ও স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে নজির আকনের পক্ষে ভাতিজা জহিরুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন। এতে বলা হয় গত ১৫ অক্টোবর অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্ট, বিডি ক্রাইম ও আঞ্চলি দৈনিক মতবাদ প্রত্রিকায় নজির আকনকে জড়িয়ে ভিন্ন ভিন্ন শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশির হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদের উপস্থাপিত তথ্যের সাথে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই। এমনকি তার অনুসারি কেউ জড়িত নেই। সংবাদে উল্লেখিত বসত ঘরে হামলা, চাদা দাবী ও মারধরের যে অভিযোগ তার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক বলে তিনি দাবি করেছেন। এমনকি ওই এলাকায় কোন বসত বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও কাউকে মারধরের মতো ঘটনা ঘটেনি। একটি কুচক্রিমহল সংবাদকর্মীদের বিভ্রান্তিকর তথ্য সরবরাহ করেছেন। তিনি এ বিষয়ে মানহানি মামলা দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন।
লিখিত বক্তব্য তিনি আরো বলেন, আমার বিরুদ্ধে বক্তব্য প্রদানকারী সাদ্দাম শিকদার ও তার বড় ভাই আউয়াল শিকদার এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু। তাদের প্রতিষ্ঠিত সাদ্দাম বাহিনীর প্রধান সাদ্দাম শিকদার ও তার ভাই আউয়াল শিকদার স্বেচ্ছসেবক লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। তারা বিগত পনের বছর আওয়ামী লীগের ক্ষমতা অপব্যবহার করে এবং মহিপুর থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল খায়ের এর সাথে সখ্যতা পুঁজি করে এলাকার সাধারণ মানুষের হয়রানি করেছেন। অসহায় ও গরীব শ্রেণীর মানুষের সম্পত্তি ভয় ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন কোম্পানীর নিকট নাম মাত্র মূল্যে বিক্রি করতে বাধ্য করে কোটি কোটি টাকা আত্যসাৎ করেছেন। এমনকি সরকারি খাল থেকে বালু বিক্রয় করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তাদের অত্যাচারে এলাকার সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ ছিলো। অদৃশ্য শক্তির ক্ষমতার ভয়ে মানুষ মুখ খুলতে পারেনি। আমি সাধারণ মানুষের পক্ষে কথা বলায় চক্রটি আমার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে যুবদল নেতা নজির আকনের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করে অভিযুক্ত সাদ্দাম সিকদার বলেন, উল্টো তারা আমি ও আমার পরিবারের সদস্যদের সাথে অন্যায় আচরণ করেছেন।
আরও পড়ুন-
কুয়াকাটা থেকে খুলনা-৬ আসনের সাবেক এমপি গ্রেফতার
নিজস্ব প্রতিবেদক:
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা থেকে খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রশীদুজ্জামান মোড়লকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার (১৬ অক্টোবর) ভোররাতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব-৬ ও ৮ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
র্যাব জানায়, রশীদুজ্জামান মোড়লের নামে সহিংসতা ও বিস্ফোরক দ্রব্যের তিনটি মামলা রয়েছে। গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন রশীদুজ্জামান। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দিলে সংসদ সদস্য পদ হারান তিনি।
এর আগে রশীদুজ্জামান ২০০৯ সালে কপিলমুনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১৯ সালে উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করেছিলেন রশীদুজ্জামান। কিন্তু ওই ভোটে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছিলো।
র্যাব-৮ পটুয়াখালী’র মিডিয়া অফিসার সহকারী পরিচালক অমিত বলেন, আজ ভোররাত ৪:৪৫ এ কুয়াকাটা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার নামে খুলনার পাইকগাছা থানায় বিস্ফোরক সহ একাধিক মামলা রয়েছে। তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।