বহিষ্কারাদেশ আমার কর্মকান্ডকে ঠেকাতে পারেনি: লিয়াকত আলী
মোহাম্মদ এরশাদ,চট্টগ্রাম:
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি সরকার পতনের অসহযোগ আন্দোলনকে জোরদার করতে বহিষ্কৃত নেতাদের দলে ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি।দলকে শক্তিশালী করতে স্থানীয় নেতাদের আবার দলে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।তারই ধারাবাহিকতায় প্রায় তিন বছর ধরে বহিষ্কার থাকা চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির প্রভাবশালী নেতা লেয়াকত আলীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে বিএনপি।
(২০ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। প্রাথমিক সদস্য হিসেবে লেয়াকত আলী সাংগঠনিক কার্যক্রমসহ দলীয় সকল কর্মসূচিতে এখন থেকে অংশগ্রহণ করতে পারবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, গত ২০২১ সালের ১০ জানুয়ারি দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে লেয়াকতকে বহিষ্কার করে বিএনপি। তখন তিনি দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য ছিলেন। বহিষ্কার করা হলেও নানাভাবে রাজনৈতিক কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন তিনি। তিনি টানা তিনবার গণ্ডামারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
সর্বশেষ, ২০২২ সালের ১৫ জুন লেয়াকত আলী গণ্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। চলতি বছরের ৬ মার্চ লেয়াকতকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এই সময় তিনি দেশের বৃহত্তম শিল্প প্রতিষ্ঠান এস এস পাওয়ার প্ল্যান্টের মামলা সহ বিভিন্ন মামলায় কারাগারে ছিলেন।
বিএনপির দলীয় সূত্র জানায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বিভিন্ন সময়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দল, দলের সিদ্ধান্ত অমান্য, সংঘর্ষ কিংবা নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে সারাদেশে দেড় শতাধিক নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত অনেক নেতা দলীয় কার্যক্রম থেকে বাইরে আছেন,
আবার অনেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পরও দলীয় কর্মকান্ডে সক্রিয় রয়েছে। এদের মধ্যে চট্টগ্রাম বাঁশখালী উপজেলা সেই আলোচিত গন্ডামারা ইউপি চেয়ারম্যান লেয়াকত আলী।
সম্প্রতিক গন্ডামারা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার সড়কে খুটি গেড়ে দেওয়ার বিষয়ে গুঞ্জন উঠলে সরজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে কোথাও তার কোন চিহ্ন দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক লেয়াকত আলী বলেন,