বাঁশখালীর তেইচ্ছিপাড়ায় থামছেনা অবৈধ বালু উত্তোলন, প্রশাসন নির্বিকার
মোহাম্মদ এরশাদ বাঁশখালী, চট্টগ্রাম।
চট্টগ্রামের বাঁশখালী পুকুরিয়া ৬ নং ওয়ার্ডস্থ তেইচ্ছিপাড়া সংলগ্ন শঙ্খনদী থেকে অবৈধ ভাবে দেদারসে চলছে উত্তোলন, প্রভাবশালী সিন্ডিকেট চক্রের অবৈধ বালু উত্তোলনে নির্বিকার প্রশাসন।অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের খবর পেয়ে ৩১ জানুয়ারি (বুধবার) সকালে উপজেলার পুকুরিয়া ইউপির ৬ নং ওয়ার্ডস্থ তেইচ্ছিপাড়া সংলগ্ন শঙ্খনদী এলাকায় পরিদর্শনে গেলে দেখা যায় ৭/৮ টি ড্রেজার দিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের দৃশ্য।স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, পুকুরিয়া ৬ নং ওয়ার্ড এলাকার আফুল হোসেন এর পুত্র মোঃ ইয়াছিন, মতুল হোসেন এর পুত্র মোঃ আসলাম, আবুল হোসেন এর পুত্র মোঃ জুবায়ের, নুর আহমদ এর পুত্র মোঃ মোঃ বেদার উদ্দিন, নজির আহমদের পুত্র মোঃ সেলিমসহ ৭/৮ জনের একটি প্রভাবশালী সিণ্ডিকেট চক্র শঙ্খনদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে, এতে প্রভাবশালী সিন্ডিকেট লাখ লাখ টাকা অবৈধ উপার্জন করলেও দেখার কেউ নেই। দেদারসে বালু উত্তোলনের কারণে ধ্বংসের মূখে পড়েছে শঙ্খনদী সংলগ্ন এলাকায় বসবাসরত শত শত পরিবারের বসতঘর।চন্দনাইশের বর্মা এলাকার মোঃ নয়নের মালিকানাধীন (ড্রেজার), মোঃ মান্নান এর (ড্রেজার), মোঃ হাসান এর (ড্রেজার), শাহাবুদ্দিনের (ড্রেজার), আজগরের (ড্রেজার), মাহফুজের মালিকানাধীন (ড্রেজার)সহ ৭/৮ টি ড্রেজারের মাধ্যমে তেইচ্ছিপাড়া এলাকার বালু সিণ্ডিকেট চক্র অবৈধ ভাবে উত্তোলন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন লোক বলেন, প্রভাবশালী সিন্ডিকেট চক্র অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করলেও প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। যার ফলে নদী ভাঙ্গন রোধ করা যাচ্ছে না, এতে শঙ্খনদী সংলগ্ন এলাকায় বসবাসরত শত শত পরিবারের বসতঘর ঝুঁকির মুখে পড়েছে। অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করা না হলে নদী ভাঙ্গনে এলাকার শত শত পরিবারের বসতঘর যে কোন মুহূর্তেই নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। তাই বালু সিণ্ডিকেট চক্রের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।এবিষয়ে ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ ফরিদ বলেন, বিষয়টি সাংবাদিক ভাইদের কাছ থেকেই জানতে পারলাম, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে নদী ভাঙ্গন রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। ইতিপূর্বে ওই এলাকার বেশ কিছু পরিবারের বসতঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তাই নদী ভাঙ্গন রোধ করতে সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর সহযোগিতায় ভাঙ্গন এলাকায় জিও ব্যাগ বসানো হয়েছে। এভাবে বালু উত্তোলন করতে থাকলে জিও ব্যাগ গুলোও বিলীন হয়ে যাবে।এতে পুরো এলাকা ঝুঁকির মুখে পড়বে।
সাম্প্রতিক সময়ে অবৈধ বালু উত্তোলন বিষয়ে
উপজেলা প্রশাসন অভিযান করেছিল, এতে বালু উত্তোলন কাজ কিছুদিন বন্ধ করলেও আইনের তোয়াক্কা না করেই পুনরায় বালু উত্তোলন কাজ চালিয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালীরা। অবৈধ বালু উত্তোলন দ্রুত বন্ধ করা না হলে শত শত পরিবারের বসতঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে৷ তাই বালু উত্তোলন কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ইউপি সদস্য ফরিদ।এবিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) আব্দুল খালেক পাটোয়ারী জানান, বিষয়টি এইমাত্র আপনার কাছ থেকে শুনতে পেলাম, ইউপি সদস্য ফরিদের সাথে কথা বলবো, অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের কারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান পাটোয়ারী।