বাংলাদেশের স্থল, নৌ ও সমুদ্রবন্দরসমূহের উন্নয়নে চলতি বছরেই চূড়ান্ত হচ্ছে ন্যাশনাল পোর্ট স্ট্র্যাটেজি– নৌপরিবহন উপদেষ্টা
বিলাল হুসাইন,চিফ রিপোর্টার:ঢাকা, ২৬ কার্তিক (১১ নভেম্বর):
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, দেশের স্থল, নৌ ও সমুদ্র বন্দরসমূহের দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার ‘ন্যাশনাল পোর্ট স্ট্র্যাটেজি’ শীর্ষক একটি জাতীয় কৌশলপত্র তৈরি করছে।
আজ রাজধানীর একটি হোটেলে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আয়োজিত এবং জাপান সরকার ও জাইকা’র সহযোগিতায় প্রণীতব্য বাংলাদেশ ন্যাশনাল পোর্ট স্ট্র্যাটেজি ২০২৫ চূড়ান্তকরণের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনের সাথে মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ন্যাশনাল পোর্ট স্ট্র্যাটেজির খসড়া প্রণয়নের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এই বছরের মধ্যেই এ স্ট্র্যাটেজি চূড়ান্তকরণের কাজ শেষ হবে এবং আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে কার্যকর করা হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি আরো বলেন, বিশ্বের বিখ্যাত বন্দরগুলো এখন ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এর ফলে সেখানে বেশি বেশি বিদেশি বিনিয়োগ হচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের মেরিটাইম সেক্টরেও আরো বেশি দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করতে এবং একটি কার্যকর ও টেকসই বন্দর ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের সাথে সাথেই ন্যাশনাল পোর্ট স্ট্র্যাটেজি প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করে।
এই কৌশলপত্রের মাধ্যমে একটি সমন্বিত, শক্তিশালী ও যুগোপযোগী বন্দর কাঠামো গড়ে তোলা হবে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘বন্দরকেন্দ্রিক সব সেবাকে একটি প্লাটফর্মে আনতে মেরিটাইম সিঙ্গেল উইন্ডো চালু করা হবে। যেখানে ব্যবসায়ীরা স্বল্পতম সময়ের মধ্যে হয়রানিমুক্ত সেবা পাবে।’ ন্যাশনাল পোর্ট স্ট্র্যাটেজি প্রণয়নের মাধ্যমে দেশের বন্দর ব্যবস্থাপনায় একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে যাচ্ছে মর্মে উল্লেখ করেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা। তিনি দেশের সমুদ্রবন্দর ও অভ্যন্তরীণ নদী-বন্দরগুলোর কার্যক্রমের সাথে স্থলবন্দরগুলোর কার্যক্রমকে সমান্তরালে সংযুক্ত রেখে যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনার ওপর ন্যাশনাল পোর্ট স্ট্র্যাটেজিতে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে বলেও জানান। জাতীয় এ কৌশলপত্র প্রণয়নের মাধ্যমে দেশের মেরিটাইম সেক্টরে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হবে বলেও উপদেষ্টা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নূরুন্নাহার চৌধুরী জাপান সরকার ও জাইকা-কে উক্ত কৌশলপত্র প্রণয়নে সার্বিক সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ন্যাশনাল পোর্ট স্ট্র্যাটেজি আধুনিক বন্দর ব্যবস্থাপনায় নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস. এম. মনিরুজ্জামান সভায় ফোকাল পারসন হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এ সময় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থার প্রধানগণ ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।







