বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এতোদিন সরকার বিরোধী আন্দোলন করে আসা দলগুলো এখন নতুন পরিস্থিতির মুখোমুখি–
নেতা-কর্মীরা একে বর্ণনা করছেন ‘সুসময়’ হিসেবে।
মামলার ভয় নেই, কর্মসূচিতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধা নেই, গ্রেফতার হওয়ার ঝুঁকি নেই। ফলে দলগুলোও এখন নতুন উদ্যোমে রাজনীতির মাঠে নেমেছে।
বিএনপি চেষ্টা করছে, দেশব্যাপী দল গুছিয়ে নির্বাচনের জন্য নেতা-কর্মীদের প্রস্তুত করতে। ইতোমধ্যে স্থায়ী কমিটিতে নতুন মুখ হিসেবে স্থান পেয়েছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এবং অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
অন্যদিকে জামায়াত চেষ্টা করছে ছাত্র আন্দোলনে আহত-নিহতদের পাশে দাঁড়ানোর মতো কর্মসূচি দিয়ে ‘জনসম্পৃক্ততা’ বাড়াতে।
তবে একইসঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং নির্বাচন নিয়েও নিজস্ব মতামত আছে দলগুলোর।
এক্ষেত্রে রাষ্ট্র সংস্কার এবং নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী ‘যৌক্তিক সময়’ দেয়ার কথা বলছে।
তবে গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম শীর্ষ নেতা ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পাটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, অন্তবর্তীকালীন সরকার কতদিনে, কী কী সংস্কার করবে তার একটা রূপরেখা খুব দ্রুতই দেয়া উচিত।
কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো সরকারের কাছে আসলে কী চায়?
নির্বাচনের জন্য দলকে ‘তৈরি করতে’ চায় বিএনপি
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ঢাকার রাজপথে প্রথম বড় ধরনের যে শোডাউন হয়, সেটা করে বিএনপি।
সরকার পতনের একদিন পর নয়াপল্টনে মহাসমাবেশে অংশ নেন দলটির হাজার হাজার নেতা-কর্মী।
তবে এরপরে আর বড় কোন কর্মসূচিতে যায়নি দলটি। বরং অঙ্গ-সংগঠনগুলোর বিভিন্ন অনুষ্ঠান, দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে নেতা-কর্মীদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো এবং আন্দোলনে আহত-নিহতদের দেখতে যাওয়ার মতো রুটিন কার্যক্রমের মধ্যেই সীমাবদ্ধ দেখা গেছে বিএনপি’র রাজনৈতিক কার্যক্রম।
এরমধ্যে স্থায়ী কমিটিসহ বিভিন্ন কমিটিতে কিছু রদবদল হয়েছে। দলটির কারাবন্দী বহু নেতা কারামুক্ত হয়েছেন এবং হচ্ছেন।
নেতা-কর্মীদের নামে থাকা মামলা কীভাবে প্রত্যাহার হবে সে বিষয়েও প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি।
সংগৃহীত