বাঘারপাড়ায় মরা রেন্ট্রি গাছ !যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে.
নিজস্ব প্রতিবেদক, সত্যকন্ঠ:
যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার ৯নং জামদিয়া ইউনিয়নের প্রানকেন্দ্র ভিটাবল্লা বাজারে কয়েকটি বড় রেন্ট্রী গাছ মারা গেছে যে কোনসময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।খুলনা কালনা মহাসড়কে অতিদ্রুতগামী যানবাহন চলাচল করে এ সড়ক দিয়ে শুধু যান চলাচল নয় সাধারণ পথচারীদের চলাচল এত বেশি সব সময় এ বাজারে শত শত লোকের সমাগম হয়। তাছাড়া খেলার মাঠের সংগে এই মরা গাছ দুটো এখনো দাড়িয়ে আছে। এ ফুটবল মাঠে প্রতিদিন সকাল বিকাল কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা খেলায় মসগুল থাকে যে কোন সময় প্রাননাশের মত বড় ধরনের মত দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এ ব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারম্যান শেখ আরিফুল ইসলাম তিববতের সংগে সরেজমিনে কথা হয় তিনি বললেন আমি মাসিক মিটিংয়ে উপজেলা প্রশাসনের সংগে অনেকবার এ ব্যাপারে মত বিনিময় করেছি কিন্তু কেন যেন তিনারা উদাসিনতা দেখাচ্ছে বুঝিনা তাছাড়া বন বিভাগের সংগে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সংগে যোগাযোগ করছি কিন্তু কোন ভালো সাড়া পেলামনা। এ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আ.মোল্লা তিনি বললেন আমি নিজ হাতে ১৯৯২ ইং সালে রোপণ করি আজ আমি এ গাছ দুটি মেরে ফেলার জন্য স্থানীয় প্রসাশন ও উপজেলা প্রসাশনের সুদৃষ্টী কামনা করছি। সাবেক ফুটবলার ও নিয়মিত দর্শক প্রায় শতবর্ষীয় ব্যাক্তিত্ব মো.রজবালী সর্দার প্রতিদিন এ ফুটবল মাঠের গোলবারের অদুরে বসে খেলা উপভোগ করে তিনিও বললেন এই গাছ যে কোন সময় ভেঙ্গে পড়তে পারে এতে খেলোয়াড়দের ক্ষতি ও প্রানাশের মত ঘটনা ঘটতে পারে তাই গাছ গুলো অতিদ্রুত মেরে সরায় ফেলা উচিৎ। শালিকার এক পথচারী মো.ইকবাল হোসেন, বাঘারপাড়ার এক গরু ব্যাবসায়ী মো. মিজানুর রহমান তিনারা বক্কার ভাইয়ের চা দোকানে বসে চা পান করতে করতে বললেন এখানে কোন জন প্রতিনিধি নেই তিনারা কি এ গাছগুলো দেখেনা? এ মরা গাছের নিচে ৫৩ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অবস্থিত এবং কয়েক মিটার দুরে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও অনতিদূরে আলিম মাদ্রাসা অবস্থিত এবং দুশ গজ দুরে দুটি হাফেজী ও এতিমখানা ছাড়াও একটি প্রাথমিক শিক্ষন কেন্দ্র আছে তাহলে এত গুলো শিক্ষা একাডেমির শিক্ষার্থীরা সকাল ৯টা থেকে শুরু করে সরকারি ছুটির দিন ব্যাতিত বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলাচল ও ঘোরাফেরা করে এ সমস্ত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা সর্বসময় হতাশায় ভুগছে। সুশীল সমাজের বিজ্ঞ জনেদের দাবী অন্ত্যাত এ গাছ দুটি যে কোন উপায় হোক বা আইনগত দিক লক্ষ্য রেখে সরায় ফেলতে হবে তা না হলে বড় ধরনের জান মালের ক্ষতি হতে পারে। সর্বশেষ ভিটাবল্লা কন্দ্রীয় জামেমসজিদের পেশ ইমাম মো. আজিজুর রহমান ও খতিব মাও.মো.ফজলুল করিম উভয়ের দাবি গাছ দুটি মেরে ফেলা উচিৎ। ধর্মপ্রান মোসাল্লিরা প্রতিদিন ৫ ওয়াক্তের নামাজ আদায় করতে এই গাছের নিচ দিয়ে যাতয়াত করে তাদেরও ঐ একই দাবি যতদ্রুত গাছদুটি অপসারণ করা যায় তত গণমানুষের জন্য মঙ্গল।
তথ্যচিত্র:গোলাম রসুল বাঘারপাড়া(ভিটাবল্লা) থেকেঃ