বাঘারপাড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু নিহতের ছবি তুলাকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকের উপর হামলা
খন্দকার সাইফুল। নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাঘারপাড়া উপজেলার জামদিয়া ইউনিয়নের জয়রামপুর গ্রামের মীর বাড়ির সামনে কাচা সড়কের উপর মো. এনামুল হক মীরের দ্বিতীয় শ্রেনী পড়ুয়া শিশু সন্তান আছিয়া (৯) গতকাল ৯ জানুয়ারী সকাল ৮টায় জয়রামপুর মীর বাড়ি জামে মসজিদ থেকে মসজিদ ভিত্তিক ধর্মীয় পড়া শেষে বাড়িতে আসার সময় ইটভাটার মাটি বহনকারী ট্রাক্টর টলির পেছনের চাকার আঘাতে ঘটনাস্থলে প্রান হারায় শিশু আছিয়া।
এসময় মৃতের সহপাঠিরা চিৎকার চেঁচামেচি করলে বাড়ির স্বজনরা ও প্রতিবেশিরা তাকে দ্রুত স্থানীয় আলাদিপুর বাজারে রহমত মেডিকেল সেন্টারে আনলে কর্তব্যরত পল্লি চিকিৎসক মো. ইয়াদ আলী লশ্কর তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এসময় মৃতের স্বজনরা বিক্ষোভ করতে থাকে। সংবাদ মুহুর্তের মধ্যে মুঠোফোনের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকার চেয়ারম্যান শেখ আরিফুল ইসলাম তিব্বত মৃতের বাড়ীতে ছুটে আসেন। মৃতের স্বজনরা চেয়ারম্যান সাহেবের উপর এর সামাজিক ভাবে সুব্যবস্থা করার জোর দাবী জানান। চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম তিব্বত বলেন, সকল রকম আইনগত দিক লক্ষ্য রেখে সুব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন।
এ বিষয়ে চ্যানেল এস বাঘারপাড়া উপজেলা প্রতিনিধি বিলাল হুসাইন সত্যকন্ঠ বাঘারপাড়া উপজেলা প্রতিনিধি গোলাম রসুল মৃতের ছবি তুলতে গেলে, ৯নং জামদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আরিফুল ইসলাম তিব্বতের নেতৃত্বে তার ছোট ভাই শেখ মামুন, ম্যানেজার মোঃ আলী হোসেন, সাইফুর রহমান, ছেলে কাব্য, অজ্ঞাতনামা আরও ৩/৪ জন তাদের উপর হামলা চালায়।
এ সময় তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন,ক্যামেরা,মাইক্রোফোন, ব্যাগ নিয়ে তাদেরকে ৪ ঘন্টা একটি বাড়িতে আটকিয়ে রাখে।
এ সময় চেয়ারম্যান শেখ আরিফুল ইসলাম উচ্চস্বরে সাংবাদিকদের সাথে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ হত্যার হুমকি এবং সাংবাদিকতার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে।
চার ঘন্টা পরে সাংবাদিকদের ছেড়ে দিলে তারা বাঘারপাড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ মৃত্যুর ঘটনায় বিষয়ে প্রথমে ভিটা বল্লা ক্যাম্প ইনচার্জ মহিদুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ দুর্ঘটনার বিষয়ে তাকে কেউ কিছুই জানায়নি। পরবর্তীতে বাঘারপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ শাহাদাত হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাকে এ বিষয়ে কোন পক্ষ অবহিত করেনি তবে সাংবাদিকরা হেনস্থা হয়েছে এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।