বাঘারপাড়ায় একই গাছের গোড়ায় বসে ২০ বছর ধরে ফল বিক্রি করছে বাহারুল
গোলাম রসুল বাঘার পাড়া(যশোর) থেকেঃ -যশোর নড়াইল মহাসড়কের ধলগা রাস্তা মোড়ে সেই বহুল আলোচিত ৭০ বছর বয়সী রেন্ট্রি গাছের গোড়ায় বসে স্বাস্থ্য সম্মত মৌসুমি কাচা ফল বিক্রি করছে বাহারুল। সরেজমিনে গিয়া কথা হয় বাঘারপাড়া উপজেলার জামদিয়া ইউনিয়নের দাতপুর গ্রামের অতি দরিদ্র মো.বাহারুল ইসলাম(৫০) এর সাথে তিনি বললেন ২০ বছর এই গাছের মূলে বসে পুষ্টিগুনে ভরা মৌসুমি ফল বিক্রি করে আসছি কিন্তু কোন দিন কোন লোক অভিযোগ করেনি এবং কখনো বলেনি ভাই তোমার ফল ভালো না। তিনি বিক্রি করেন সিজিনালী ফল পেয়ারা, আমড়া, বেল ও শসা। তার সুনিপুণ হাত দ্বারা কাটা ফল মহাসড়কে যাত্রি বাহি চলাচল গাড়িতে ফেরি করে বিক্রি করে আসছে প্রায় হাফ ডজন অসহায় স্থানীয় বেকার যুবক।
এসমস্ত যুবকদের প্রতিটি পরিবারে ৫/৭ জন করে সদস্য আছে। এই কাচা ফল বিক্রি করে প্রতিটি পরিবারের একটু হলেও সচ্ছলতা ফিরে এসেছে সেটা সম্ভব হয়েছে জনাব বাহারুল মিয়ার সার্বিক সহযোগিতায়। বাহারুল প্রতিদিন কাক ডাকা সকালে বের হয়ে যায় গ্রামে এই কাচা খাওয়ার উপযোগি ফল কিনতে। নিজের হাতে ফল পেড়ে পরিস্কার করে বিজ্ঞান সম্মত ভাবে কেটেকুটে অসহায় ঐ বেকার যুবকদের হাতে তুলে দেয়।
এতে যেমন বাহারুলের লাভ হয় এবং তার কাছ থেকে খরিদ করে হকাররাও লাভবান হয়। আজ বাহারুলের মাধ্যমে ৬/৭ টি পরিবারের সংসারে সচ্ছলতা ফিরে এসেছে। যে সমস্ত যুবক হকার ভাইয়েরা এ পেশায় আছে তাদের কয়েক জনের মধ্যে দাতপুরের মো. রুবেল হোসেন (২৪) তার পরিবারে সদস্য আছে ৬ জন,ভিটাবল্যার মো. পারভেজ হোসেন(১৬) তার পরিবারে সদস্য আছে ৭জন, বাগডাঙ্গার মো.তারেক হোসেন (২৪)তার পরিবারে সদস্য আছে ৭জন, দাতপুরের মো.ইউনুস মিয়া (২৪)তার পরিবারে সদস্য আছে ৬ জন, মো.সোহান হোসেন (১৭)তার পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৮জন এবং ভিটাবল্যার মো.নাছিম (১৭)তার পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৫ জন।
যে সমস্ত হকার ভাইদের নাম উল্লেখ করলাম এরা সকলেই হাতে কেটে স্বাস্থ্য সম্মত ফল যে বিক্রি করেন সেই বাহারুল ভাইয়ের নিকট দায়বদ্ধ ও কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে। বাহারুল মিয়া বর্তমান সমাজে মডেল।