জসীম উদ্দিন, স্টাফ রিপোর্টার
যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার ৯ নং জামদিয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড নিত্যানন্দ গ্রামের মোঃ
লোকমান হোসেন ফকির (৮৯)আজ ২৭ অক্টোবর ভোর ৫ টায় যশোর একটা ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করেন ইন্না-লিল্লাহ অইন্নালিল্লাহি রাজেউন। মৃত্যুকালে তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়ে এবং বহু আত্মীয় স্বজন গুনগ্রাহি রেখে যান। একজন গুনি শিক্ষক তার মৃত্যু সংবাদ মুহুর্তের মধ্যে মুঠোফোনের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দুরদুরান্ত থেকে স্বজনরা শেষবারের মতো একনজর দেখার জন্য ছুটে চলে আসেন মৃতের জন্ম ভুমি নিত্যানন্দপুর গ্রামে। স্যার একটানা ৪২ বছর বসুন্দিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের চাকুরীরত ছিলেন। ২০০১ ইং সালে তিনি অবসরে এসে ধর্মীয় সংগঠনের সাথে জড়িত হন। সেই সুবাদে তিনি বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ ধর্ম প্রচারের জন্য ধর্মীয় সফর করেন ইন্দোনেশিয়া. মালয়েশিয়ার. ভারত, নেপাল, শ্রীলংকা, কেনিয়া ও সৌদিআরব। তিনি বাঘারপাড়া উপজেলার হাজী কল্যান পরিষদের সম্মানিত উপদেষ্টাও ছিলেন।এই গুনি শিক্ষকের জানাজায় শরিক হওয়ার জন্য বাঘারপাড়া উপজেলার হাজী কল্যান পরিষদের সম্মানিত সহ-সভাপতি রস কাকা নামেখ্যাত মা
মোঃ ফারুখ হোসেন জামদিয়া ইউনিয়নের সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক সহকারী শিক্ষক মোঃ মহিউদ্দিন বিশ্বাস, সহসভাপতি ভিটাবল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ আঃ মজিদ আনোয়ার, সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা আলহাজ আঃ কাদের মোল্লা, যশোর কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোঃ মোক্তার আলী, ৮ নং বাসুয়াড়ি ইউনিয়নের হাজি কল্যান পরিষদের সম্মানিত সভাপতি আলহাজ্ব মোঃহেকমত আলী মোল্লা, সহসভাপতি মাঃ আঃ রাজ্জাক, আরেক জন হাজি কল্যান পরিষদের অন্যতম উপদেষ্টা সাবেক প্রধান শিক্ষক বসুন্দিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ মোঃ মকছের আলী খান, আরও যারা শরিক হয় তারা স্যারের সহপাঠী সাবেক শিক্ষক মোঃ আঃ ওহাব গাজী, ও সাবেক শিক্ষক মোঃ আবু বক্কার বিশ্বাস। বাদ আছর সম্মিলিত আলাদিপুর ঈদগাহে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।এ নামাজ পড়ান স্যারের বিদেশ সফর সংগী মাওলানা আবুজার যশোরী। এদিনই মৃতের পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।
একজন শিক্ষার বাতিঘরের সমাপ্তি হলো। এ অপূরণীয় ক্ষতি পূরণ হবার নয়। তাঁর মত কেউ আর হবে না কিন্তু তাঁর রেখে যাওয়া কাজ কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বর্তমান প্রজন্মের পজেটিভ মানুষগুলোকে এগিয়ে আসার বিনীত আহবান। শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় সিক্ত থেকে ওপার ভাল থাকবেন স্যার।