বাঘারপাড়া উপজেলার জামদিয়ার আফরিনের সফলতা।ঃ
গোলাম রসুল: বাঘারপাড়া ,যশোর:
যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার ৯ নং জামদিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরিনের সপ্ন চিকিৎসক হওয়া তার সপ্ন পূরণ হতে চলেছে এবং সফলতা পেয়েছে ।
তার বাবা দিন মজুর মোঃ শফিকুল ইসলাম মন্ডল মা গৃহীনি শিউলি বেগম তার এ সফলতার প্রধান কারিগর এছাড়া তার খালা উপজেলার বাররা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষীকা নিগার সুলতানা লাভলী অন্যতম একজন।
সরেজমিনে কথা হয় আফরিনের সংগে মা, বাবা, স্বজনদের পরের স্হান আমার শিক্ষকদের অবদানও কোন অংশে কম নেই। আমাকে বেশি অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিলেন আমার নানা সাবেক মেম্বর মোঃ আঃ গফফার মোল্লাসহ খালামনি। জামদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ৫ম শ্রেনীতে
ট্যালেন্টপুলে, ভিটাবল্লা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৮ম শ্রেনীতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়ে পর্যায় ক্রমে মাধ্যমিক পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করে এবং যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিক্ষা কেন্দ্র থেকে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করে আফরিন। এ বছর ইং ২০২৩ সালে সে
মেডিকেলে লেখা পড়া করার সরকারি ভাবে সুযোগ পেয়েছে। ১৯৭৩ সালে ভিটাবল্লা মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হওয়ার পর থেকে আজঅবদি এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে সর্বোমোট ৩ জন মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পেয়েছে। অন্য ২ জন জামদিয়া ইউনিয়নের
৭ নং ওয়ার্ড তেঘরী গ্রামের মোঃ নজরুল শেখের মেয়ে মোছাঃ তানিয়া বেগম, অপরজন ৮ নং ওয়ার্ড ভিটাবল্লা গ্রামের কৃতিসন্তান বাঘারপাড়া ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যক্ষ মোঃ জাকির হোসেনের ছেলে মোঃ জাওয়াদ হোসেন (হিমু)।
আফরিনের বাবা ও মা দুজনে বললেন আমাদের অভাব অনাটনের সংসারে মেয়েকে দুবেলা দুমুঠো ভাত দিয়েছি কিন্তু সব সময় মাছ মাংস দিতে পারিনি তবুও আমাদের সন্তান আমারা যা যোগাড় করে দিয়েছি তাইতে সে হাশি খুশি মুখে খেয়েছে।
যেদিন সে জানতে পারলো তার মেডিকেলে পড়ার সুযোগ হয়েছে তার কয়েকদিনের মধ্যে অর্থাত গত ১৫ মার্চ ইং ২০২৩ ছুটে চলে যায় তার প্রিয় শিক্ষা একাডেমি ভিটাবল্লা মাধ্যমিক বিদ্যালয়। সেখানে তার বিষয়
ভিত্তিক শ্রদ্ধেয় প্রধান শিক্ষকসহ খন্দকার আলী আশরাফ (টিটো), বাবু সুকুমার, (অবঃ) মোঃ মতিউর রহমান(অবঃ)সহ অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষীকাবৃন্দদের সংগে দেখা করতে গেলে এ সময় তাকে এক গোছা ফুল দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয় এবং এ সময় এ
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক বাবু অরুন কুমার বিশ্বাস আফরিনকে একটি বই উপহার দেন ও তাকে কিছু উপদেশমুলক বাণী দেন। জনাব অরুণ কুমার বিশ্বাস আফরিনকে উদ্দেশ্যে করে বলেন তুমি যেন একজন মানবিক ডাক্তার হতে পার এই দোয়া ও আশীর্বাদ রইল।