সিরাজুল ইসলাম রতন, গাইবান্ধা:
নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে দায়েরকৃত মামলায় বাবা জাইদুল ইসলামের বিচার চেয়ে দিনের পর দিন আদালতে ধর্না দিচ্ছেন প্রতিবন্ধী ফাতেমা বেগম।
ফাতেমা রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামের জাহিদুল ও ছামছুন্নাহার দম্পতির মেয়ে।সে লাল দিঘি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেনীর ছাত্রী।
ফাতেমা জানান সে জম্নের পর থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধী। বাবা পেশায় একজন শ্রমিক। মা বে সরকারি একটি এনজিওর স্কুল শিক্ষক।
বাবা জাহিদুল অত্যান্ত বদ মেজাজী নারী লোভী একজন ব্যাক্তি।তার বাবা ফাতেমা জম্নের পর তিনি আরো তিনটি বিয়ে করে।পরে ১ম স্ত্রী শামসুন্নাহার, বড় মেয়ে ফাতেমা ( ১৪) ও ২য় মেয়ে বৃষ্টি (১১) খোর পোষ না দিয়ে ২য় স্ত্রী নিয়ে ঢাকায় বসবাস করতে থাকে।
এরপর আবারো আর একজন মেয়েকে বিয়ে করে।বিয়ের ২ বছর পর তার বাবা ৩য় স্ত্রী কে নিয়ে বাড়ীতে আসলে এতে বাধা প্রদান করে তার মা শামসুন্নাহার।
এসময় তার বাবা ২ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে ১ম স্ত্রী শামসুন্নাহার কে বেধরক মারপিট করে।এসময় প্রতিবন্ধী ফাতেমা ও বৃষ্টি এগিয়ে আসলে তিনি তাকে ও বেধরক মারপিট করে বাড়ী থেকে বের করে দেয়।
তারা আরো জানায় বাবার অনুপস্থিতিতে তার মা শামসুন্নাহার বেগম জাহিদুলের বাবার নিকট ৪ শতাংশ জমি কিনে সেখানে একটি মাটির ঘড় তুলে কোন রকম জীবন যাপন করছিলেন।তার বাবা মা সহ দুই বোনকে বাড়ী থেকে বের করে দেওয়ায় বর্তমানে তারা তার নানার বাড়ী গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার পৌর শহরের উদয়সাগর গ্রামে বসবাস করে আসছেন।
এঘটনায় শামসুন্নাহার বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন, যৌতুক আইনে পীরগঞ্জ থানায় একটি মামলা। যা বর্তমানে রংপুর শিশু আদালত তিন এ বিচারাধীন আছে।
আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি উল্লেখিত মামলার স্বাক্ষ্য প্রদানের দিন ধার্য হয়েছে পাবলিক প্রশিকিউটর জানান।