বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টার সাথে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
আলী আহসান,ঢাকা:
রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রি.
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এর সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত Mr. Reto Renggli-এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
আজ সচিবালয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার কক্ষে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের জন্য দায়িত্ব গ্রহণের পর স্বল্প সময়ে যে সকল কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন তা সম্পর্কে আলোচনা করেন। এসময় তিনি সুইস কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করার জন্য স্বাগত জানান।
উপদেষ্টা জানান, তিনি সম্প্রতি মাতাবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন। এই প্রকল্পের আওতায় গভীর সমুদ্র বন্দর, অর্থনৈতিক জোন, রেললাইন ও সড়ক প্রকল্পও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কিন্তু শুধু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করে এর থেকে প্রকৃত সুবিধা পাওয়া সম্ভব নয়, যতক্ষণ পর্যন্ত না অন্য প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। বিগত সরকারের আমলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অপরিকল্পিত উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে যৌক্তিক মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি খরচে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে যা ভালু ফর মানি হয়নি।
ফাওজুল কবির খান বলেন, তিনি এখন থেকে বড় প্রকল্পের সাথে ছোটো ছোটো প্রকল্পের মাধ্যমে স্বল্প খরচে দ্রুত তা বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব প্রদান করবেন। নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন ও পরিবেশ বান্ধব জ্বালানি ব্যবহারের ওপরও গুরুত্ব আরোপ করা হবে। এ সময় তিনি নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও উন্নত প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সুইজারল্যান্ড সরকারের সহায়তা চান। সুইস ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশ উন্নয়ন কাজে অংশগ্রহণ ও ব্যবসা-বাণিজ্যে বিনিয়োগের জন্যও আহ্বাদ জানান উপদেষ্টা।
বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত Reto Renggli গুরুত্বপূর্ণ তিনটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ায় উপদেষ্টাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এটি বেশ চ্যালেঞ্জিং একটি কাজ। বর্তমান সরকারের স্বল্প সময়ে গৃহীত পদক্ষেপ সমূহের প্রশংসা করেন রাষ্ট্রদূত।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিতর্কিত আইন স্থগিত ও বিআরসি আইনের ৩৪ক ধারা বাতিল, ওপেন টেন্ডার, সচিবদের তাদের আওতাধীন কোম্পানির চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণসহ গৃহীত পদক্ষেপসমূহ এখাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে তিনি এসময় আশা প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি সহায়তার প্রস্তাব গুরুত্বের সাথে বিবেচনার আশ্বাস প্রদান করেন।