বৈরী আবহাওয়ার কবলে সমুদ্রে ৬ ট্রলার ডুবি, ১১২ জেলে উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিবেদক::
কুয়াকাটা সংলগ্ন উত্তাল সমুদ্রে ৬টি মাছধরা ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ট্রলারগুলোতে থাকা ১১২ জেলের সবাইকে উদ্ধার করা গেলেও মাছধরা সরঞ্জামসহ ট্রলারগুলোর কোন হদিস মেলেনি।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিন্মচাপের প্রভাবে ঝড় ও আকস্মিক উত্তাল সমুদ্রে মঙ্গলবার সকাল থেকে বুধবার বিকেল পর্যন্ত এসব ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। এদিকে ৬টি মাছধরা ট্রলার নিমজ্জিত হবার সুস্পষ্ট তথ্য পাওয়া গেলেও আরও বেশ কিছু মাছধরা ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছেন সাগর থেকে ফিরো আসা জেলেরা।
নিজামপুর কোস্টগার্ড স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, ভাসমান অবস্থায় ওই ১১২ জেলেকে উদ্ধারে সক্ষম হলেও এখনও মাছধরার সরঞ্জামসহ ট্রলারগুলো উদ্ধার করতে পারেনি। সাগর থেকে উপকূলে ফেরা জেলেদের বরাদ দিয়ে মহিপুর মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাজা মিয়া সাংবাদিকদের জানান, মঙ্গলবার দুপুর থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত কুয়াকাটা সংলগ্ন আন্ধারমানিক নদীর মোহনায় বঙ্গোপসাগরে ও বঙ্গোপসাগরের হাইরেরচরের এক নং বয়া এলাকায় এ ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। সাগর থেকে ঝড়ের কবলে পড়ে উপকূলে ফিরে আসা একাধিক জেলে জানান, হঠাৎ সাগরে ঝড়ো বাতাস শুরু হয়।
এ সময় জেলেরা অপ্রস্তুত থাকায় বেশকিছু মাছধরা ট্রলার সাগরে নিমজ্জিত হয়েছে। এফবি বিসমিল্লাহ নামে ডুবে যাওয়া ট্রলারের জেলে জালাল আহমেদ উপকূলে ফিরে আসার পর বুধবার বিকেলে জানান, এফবি ভাইভাই নামের একটি মাছধরা ট্রলারে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসার সময় সাগরে অন্তত ৪টি মাছধরা ট্রলার ভাসতে দেখেছেন।
তার ধারণা এই ঝড়ে কুয়াকাটা সংলগ্ন সমুদ্রে অন্তত ১০/১২টি মাছধরা ট্রলার ডুবে গেছে। ফলে সেইসব মাছধরা ট্রলারে থাকা জেলেদের ভাগ্যে কি ঘটেছে তা এখনও জানা যায়নি। ডুবে যাওয়া ট্রলার এফবি ঝুমাইশা মনি, এফবি আল্লাহর দান, এফবি মা-বাবার দোয়া, এফবি বিসমিল্লাাহ, এফবি বিশ্বাস এবং এফবি দিদার নামে ৬টি মাছধরা ট্রলারের ১১২ জেলের
সবাইকে উদ্ধার করার দাবি করেছেন আলীপুর মৎস্য আড়ৎদার সমিতির সভাপতি মোঃ আনছার উদ্দিন মোল্লা। তার মতে আকস্মিক এই ঝড়ে অন্তত ৫০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে মাছ ব্যবসায়ীদের। এ ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন। বর্তমানে মহিপুর আলীপুর মৎস্য বন্দর ঘাটে সহ শত শত মাছধরা ট্রলার নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে।