ওবায়দুর রহমান ভাঙ্গা- ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার কালামৃধা ইউনিয়নের দক্ষিন কালামৃধা গ্ৰামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এক কিশোরকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন । শনিবার দুপুরে ফারুক মাতুব্বর ও মান্নান মাতুব্বরের জায়গা জমি পরিমাপের সময় শালিশ বৈঠক শেষে তর্কাতর্কির সময় এঘটনাটি ঘটে। ঐ কিশোর দক্ষিণ কালামৃধা গ্রামের ফারুক মাতুব্বরের ছেলে নবীন মাতুব্বর (১৫)। এদিকে নবীর নিহত হওয়ার সংবাদ গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত গ্রামবাসী বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি ভাংচুর করে। সন্ধ্যা ৭টার সময় খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনার স্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
এলাকাবাসী ও ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিয়ারুল ইসলাম জানায়, আজ দুপুরে ফারুক মাতুব্বর ও মান্নান মাতুব্বরের সাথে জায়গা জমি সংক্রান্ত একটি সালিশ বৈঠক ছিল । সালিশ বৈঠকের শেষে কিছু যুবকের সাথে কথা-কাটাকাটির পরে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এ সময় কিশোর নবীন মাতুব্বরকে চাকু দিয়ে গলা সহ বিভিন্ন স্থানে আঘাতে গুরুতর আহত হয়। সাথে সাথে ভাঙ্গা ও পরে তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজে নেওয়া হলে সন্ধ্যার পরে সে মারা যায়। লাশ এলাকায় আসার আগেই সেই গ্রামে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে । নিহতের পরিবার ভাঙ্গা থানায় মামলা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
জানা যায়, ফারুক মাতুব্বর ও মান্নান মাতুব্বর গং দের সাথে জায়গা জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব ছিল। বিষয়টি নিয়ে কালামৃধা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান লিঠু মাতুব্বর উভয়কে মীমাংসার প্রস্তাব দিলে শনিবারে দুপুরে শালিশ বৈঠক শুরু হয়। ঐ শালিশ বৈঠকে বর্তমান ও সাবেক ৭/৮ জন চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিল। দুপুর গড়িয়ে সালীশ বৈঠকের শেষ পর্যায়ে উভয় গ্রুপের লোকজন সালিশ বৈঠক নিয়ে বাক বিতণ্ডায় জড়ায়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নিলে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ফারুক মাতব্বরের ছেলে নবীর মাতুবরব সহ আরো কয়েকজনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত হয় । স্থানীয় জনতা নবীন মাতুব্বরকে উদ্ধার করে প্রথমে ভাঙ্গা হাসপাতাল ও পরে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু বলে ঘোষণ করেন। এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত এলাকার পরিবেশ থমথমে ভাব বিরাজ করছে।