মাগুরা সদরের বেরইল-পলিতা গ্রামের ফারুক হোসেন পলাশের উপর সন্ত্রাসী হামলা; থানায় মামলা
এইচ,এম রাজীব, সত্যকন্ঠ;স্টাফ রিপোর্টার:
এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,
মাগুরা সদর থানার বেরইল পলিতা গ্রামের মৃত: কিবরিয়ার একমাত্র ছেলে ফারুক হোসেন পলাশ। গত রবিবার(০২/০৭/২০২৩ই:) সকাল আনুমানিক ৮টার দিকে তার ওপর এক সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
এজাহারে উল্লেখিত ১ নং আসামী একই গ্রামের মৃত আতিয়ার রহমান মিয়ার ছেলে কামরুজ্জামান সুমন এই নেক্কারজনক হামলা চালায়। ২নং আসামি মৃত আলতাব মিয়ার ছেলে আব্দুল আহাদ মিয়া এই ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী। এছাড়াও আরো ৪/৫ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি রয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে জমিজমার সীমানা সংক্রান্ত বিষয়ে মনমালিন্য ও বিরোধ চলিয়া আসিতেছিল উভয়ের মধ্যে,এরই ধারাবাহিকতাই এই জঘন্যতম ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।
ফারুক হোসেন পলাশ, অতি সাদামাটা জীবন যাপন তার, পিতার অবর্তমানে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হলেন তিনি, প্রতিদিনের ন্যায় ঘটনার দিন সকাল আনুমানিক ৮টার দিকে বাড়ি থেকে তার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, পার্শ্ববর্তী পলিতাবাজারে নিজ দোকান ঘরের সামনে গেলে, হঠাৎ করেই তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায় অভিযুক্তরা, কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই কামরুজ্জামান সুমন ধারালো ছোলদা দিয়ে তার পিঠে কোপ দেয়, অবস্থার বেগতি দেখে ফারুক হোসেন পলাশ সেখান থেকে দৌড় দিয়ে ২০০গজ দক্ষিণে মাহবুরের দোকানের সামনে গিয়ে পড়িয়া যায়, আসামিরা তার পিছু ধাওয়া করে ১ নং আসামী কামরুজ্জামান সুমন তাকে এলোপাতাড়ি ভাবে শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে কোপাতে থাকে।
ভিকটিমেয়ের চিৎকার চেঁচামেচিতে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে আসলে, তোকে দেখে নেব বলে জীবননাশের হুমকি দিয়ে তারা তাকে ছেড়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা আসংখ্য জনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করে, অবস্থার বেগতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা সেখান থেকে তাকে ঢাকার NICVD/NITOR/DMCH এ রেফার্ড করে।
বর্তমানে সে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় জীবন মৃত্যু সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
এই ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী মানসুরা আক্তার সুরাইয়া বাদী হয়ে( ৩/৭/২০২৩) তারিখ মাগুরা সদর থানায় হাজির হয়ে ২জনকে প্রত্যক্ষ আসামি ও ৪/৫জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি এজাহার দায়ের করেন ।
এ ঘটনাযর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং আসামিদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন-
বেরইল পলিতা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মুন্সী তৌহিদুজ্জামান বাবু।বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সি নাজির আহমেদ, মাগুরা জেলা সদস্য আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ।মোঃ খবির হোসেন,ক্রিড়া বিষয়ক সম্পাদক, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ।মোঃ হাসান মোল্লা, সদস্য ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ।মো:টিটারুল আলম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সহ স্থানীয় সুশীল সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
এ বিষয়ে মাগুরা সদর থানার ওসি সেকেন্দার আলী বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে, ঘটনা সত্য, তদন্তপূর্বক বিচারের ব্যবস্থা করা হবে।
এ ঘটনায় কামরুজ্জামান সুমনের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কথা বলার চেষ্টা করলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।