মামলা তুলে না নেয়ায় বসুন্দিয়ায় ঘের ব্যবসায়ীর বাড়িতে অগ্নি সংযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক :
বসুন্দিয়ার ঘের ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা না-পেয়ে হাতের আঙ্গুল কর্তনকারীর বাড়িতে অগ্নি সংযোগ দিয়ে মামলা তুলে নেয়ার জন্য একের পর হুমকি ধামকি, আতংকে দিন কাটাচ্ছে ভুক্তভোগী পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে ১৭ আগষ্ট বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া গ্রামের নাথপাড়ার অসীম সরকারের বাড়িতে ওই রাত্রে আচমকা কে-বা কারা ঘরের পাশে রান্না ঘরে আগুন দিয়ে চলে যায়। রান্না ঘরে শুকনা জ্বালানি থাকায় দ্রুত পুড়ে যায়।
এসময় পাশে থাকা ছগল গুলোর ডাক শুনে পরিবারের লোকজন ঘুম থেকে উঠে দেখতে পায় দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। তাদের আর্তচিৎকারে আশপাশের মানুষ ছুটে এসে অগ্নি নিবারন করেন। গত ১১ আগষ্ট রাত ১টার পর মামলার বাদীর বাড়িতে মুখোশ ধারী ৪/৫ জন এসে বাসার গেটে লাঠিসোটা দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটাতে থাকে উচ্চ শাব্দে ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যগন গেটে আসলে তালা খুলতে বলে।
একপর্যায়ে দুর্বৃত্তরা “বলে তাড়াতাড়ি এমামলা তুলে না নিলে সামনে বড় বিপদ তোদের, হাতের আঙ্গুল কেটেছি এরপর মাথা কেটে নিয়ে যাবো বলে চলে যায়”। পরদিন যশোর সদর কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেছে অসীমের পরিবার। অগ্নি সংযোগের ঘটনা জানার জন্য স্থানীয় কয়েকজন বাসুদেব সেন, রবিন মজুমদার, পবিত্র দেবনাথ, ডাঃ আশীষ কুমার দেবনাথ সহ বসুন্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য মোঃ ইমরান হোসেন মিলন বলেন, এঘটনার সাথে জড়িতদের প্রশাসন দ্রুত সনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান।
এবিষয়ে বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ কামরুজ্জামান বলেন, এ মামলার মুলহোতাকে ধরার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। মাৃলার বিবরণ জানা গেছে গত ২৬ জুলাই রাতে বাঘারপাড়া উপজেলার জামদিয়া ইউনিয়নের বারভাগ দাড়িরপর এলাকায় ঘের ব্যবসায়ী অসীম কুমার সরকার এর ঘেরে ৪/৫ সন্ত্রাসী চাঁদা দাবি করে।
চাদা না-পেয়ে চোখ মুখ বেধে ঘের থেকে ১কিঃমিঃ দুরে বটতলার পাশে এনে বাহাতের বৃদ্ধা আঙ্গুল কেটে দেয়। এব্যাপারে বাঘারপাড়া থানায় অসীমের মা বাদী হয়ে সন্ত্রাসী দুর্বৃত্ত নিত্যানন্দপুর গ্রামের হারুনের ছেলে সবুজ সহ অজ্ঞাত ৩/৪ জন বলে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং বাঘারপাড়া ১০৬। গত ৯ আগষ্ট ভিটাবল্যা পুলিশ ক্যাম্পের অভিযানে সন্ত্রাসী সবুজ সহ তিনজনকে গ্রেফতার করে জবানবন্দি নিয়ে শ্রী ঘরে পাঠিয়ে দেয়। এবিষয়ে ভিটাবল্যা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, এঘনার মুল হোতা গডফাদার এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে।
দ্রুত এঘটনার মুল আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এলাকাবাসীরও এঘটনায় জড়িত মুলহোতা সহ আসামিদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।