যৌতুকের টাকা না দেওয়াই স্ত্রীকে গ্যাস ট্যাবলেট খাওয়ালেন স্বামী, শাশুড়ি-স্বামী আটক
আনভিল বাপ্পি ঘোড়াঘাট দিনাজপুর প্রতিনিধি :
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় গৃহবধূকে গ্যাস ট্যাবলেট খাইয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শাশুড়ি- স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (১১ অক্টোবর) সকালে বসত বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। নিহত সাদিয়া আক্তার সাথী(১৩) ঘোড়াঘাট পৌরসভা নয়াপাড়া গ্রামের মৃত আকবর হোসেনের ছেলে নাহিদের স্ত্রী।
স্থানীয় ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, ৩-৪ মাস পূর্বে সাদিয়া আক্তার সাথী(১৩) কে কৌশলে বাড়ি হতে বাহির করিয়া নিয়ে গিয়ে বিয়ে করে নাহিদ । বিয়ের কয়েক দিন পর থেকেই যৌতুকের জন্য সাদিয়ার আক্তার সাথীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন স্বামী নাহিদ সহ পরিবারের লোকজন।
মঙ্গলবার বিকালে যৌতুক বাবদ ৪ লক্ষ টাকা দাবি করে নাহিদ ও তার পরিবারের লোকজন। সাদিয়া আক্তার সাথী উক্ত টাকা তার পিতার নিকট হইতে আনিয়া দিতে অপারগতা প্রকাশ করিলে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করে এবং কিল-ঘুষি মারে । পরবর্তীতে সাথী তার মাকে যৌতুকের বিষয়টি মোবাইল ফোনে জানাই। বুধবার গভীর রাতে সাথী আক্তার কে ঘুম থেকে টেনে তুলে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ ও বেধড়ক পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে ।
এ সময় জোর পূর্বক ইদুর মারা গ্যাস ট্যাবলেট মুখে গুজে দেয় স্বামী ও শ্বশুর। পরে সাথী অসুস্থ হইয়া পড়িলে তার পিতা মাতাকে না বলিয়া তাকে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমবক্সে নিয়ে যায়। রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে বগুড়া হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়। পরবর্তীতে ঘটনা অন্যদিকে মোর ঘুরানোর জন্য সাথীর পরিবারকে ফোনে সংবাদ দেয় যে তাদের মেয়ে সাথী আক্তার ইদুর মারা গ্যাস ট্যাবলেট খেয়েছে তাকে হাসপাতালে নিতে হবে। এমন খবর পেয়ে দ্রুত এসে সাদিয়া আক্তার সাথীকে কে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই তার স্বজনরা ।
সাদিয়া আক্তার সাথীর পরিবারের অভিযোগ, বিভিন্ন সময় কারণে অকারণে তাদের মেয়ে সাদিয়া আক্তার সাথীর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত। বুধবার রাতে তাকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পরে গ্যাসের ট্যাবলেট খাওয়ায়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার চালানো হয়েছে।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সাদিয়া আক্তার সাথী(১৩) বাবা বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছে। আমরা তার স্বামীও শাশুড়িকে আটক করেছি।