রংপুরের বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে ব্রয়লার ও পাকিস্তানি সোনালি মুরগির দাম
মাটি মামুন, রংপুর:
রংপুরের সিটি ও বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করছি আমি মাটি মামুন।সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে ব্রয়লার ও পাকিস্তানি সোনালি মুরগির দাম।তবে সবজি, ডিম, আদা ও আলুর দাম কমেছে।
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়,খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি গত সপ্তাহের মতোই ১৮০-২০০ টাকা, পাকিস্তানি ৩২০-৩৩০ টাকা, পাকিস্তানি লেয়ার ২৮০-৩০০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৫৬০-৫৭০ টাকা থেকে কমে ৫২০-৫৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে গত সপ্তাহের মতোই ৬৭০-৭০০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ৯০০-১০০০ টাকা কেজি দরে।খুচরা বাজারে পোলট্রি মুরগির ডিমের হালি ৪৪-৪৫ টাকা থেকে কমে ৩৯-৪০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।টার্মিনাল বাজারের মুরগি বিক্রেতা আতিকুর ইসলাম এই প্রতিবেদক মাটি মামুন কে বলেন, মুরগির বাজার ছিল সিন্ডিকেটের দখলে।রোজার শুরুতে দাম নির্ধারণের পর থেকে কমতে শুরু করেছে।
এছাড়া রোজা উপলক্ষে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সরবরাহ কম ছিল এখন চাহিদা অনেকটাই কমে এসেছে।সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি টমেটো গত সপ্তাহের তুলনায় ৫-১০ টাকা কমে ৩০-৩৫ টাকা, গাজর আগের মতোই ২৫-৩০ টাকা, চালকুমড়া ৩৫-৪০ টাকা, শসা ৪০ টাকা থেকে কমে ২৫-৩০ টাকা, চিকন বেগুন আগের দামেই ২০-২৫ টাকা, গোল বেগুন ৫০-৬০ টাকা থেকে কমে ৪০-৪৫ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা থেকে কমে ২৫-৩০
টাকা, উচ্ছে ৭০ টাকা থেকে কমে ৫৫-৬০ টাকা, করলা ৭০-৮০ টাকা, বরবটি ৭০-৮০ টাকা থেকে কমে ৫০-৬০ টাকা, লেবু প্রতি হালি ২০-২৫ টাকা, কাঁচামরিচ ৭০-৮০ টাকা থেকে কমে ৫০-৬০ টাকা, শুকনা মরিচ আগের মতোই ৪৫০-৫০০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে দাম ৩০-৪০ টাকা, ধনেপাতার কেজি ৮০-১০০ টাকা থেকে
কমে ৩০ টাকা, কাঁচকলা হালি ২৫-৩০ টাকা, প্রতি কেজি মিষ্টিকুমড়া ২৫-৩০ টাকা, শিম গত সপ্তাহের মতোই ৩৫-৪০ টাকা, বাঁধাকপি ১০-১৫ টাকা পিস, ফুলকপি ৫০-৬০ টাকা কেজি, সজনে ডাঁটার দাম কমে ৭০-৮০ টাকা, পটোল ও ঢেঁড়শ ৫-১০ টাকা কমে ৬০-৭০ টাকা এবং কচুর লতি ৬৫-৭০ টাকা কেজি দরে
বিক্রি হচ্ছ।
খুচরা বাজারে কার্ডিনাল আলু গত সপ্তাহের মতো ২০ টাকা এবং শিল ও ঝাউ আলুর দাম ৩-৫ টাকা বেড়ে ৩৮-৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।দেশি পেঁয়াজ গত সপ্তাহের দরে ৩৫ টাকা এবং আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।সিটি বাজারের সবজি বিক্রেতা ফিরোজ হোসেন বলেন, রমজানের প্রভাব সবজির ওপর পড়েছিল।এখন সেটা অনেকটাই কমে এসেছে।
খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৮৭ টাকা, দুই লিটার ৩৭৪ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৬০-১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।চালের বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, খুচরা বাজারে স্বর্ণা চাল গত সপ্তাহের মতোই ৫০-৫২ টাকা, পাইজাম ৫৪-৫৫ টাকা, বিআর২৮ ৬০-৬৫ টাকা, মিনিকেট ৭৫-৭৮ টাকা ও নাজিরশাইল ৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে খোলা চিনি গত সপ্তাহের মতোই ১১৫-১২০ টাকা, প্যাকেট আটা ৬৫ টাকা, খোলা আটা ৫৮-৬০ টাকা, ছোলা বুট ৯০-৯৫ টাকা এবং প্যাকেট ময়দা ৭৮-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।এদিকে আকারভেদে রুইমাছ ২৫০-৩০০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০, কার্প ২০০-২২০, পাঙাশ ১৫০-১৬০, তেলাপিয়া ১৪০-১৬০, কাতলা ৪০০-৪৫০, বাটা ১৬০-১৮০, শিংমাছ ৩০০-৪০০, সিলভার কার্প ১৫০-২৫০ এবং গছিমাছ ৬০০-৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।