রংপুরে মতি প্লাজা মার্কেটে আগুনে পুড়ল ১৬টি দোকান
মাটি মামুন রংপুর।
আজ (১৭ এপ্রিল) সোমবার বিকেল ৩টার দিকে আগুন লাগলো রংপুর নগরীর মতি প্লাজা মার্কেটে।
আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট নিয়ন্ত্রণের জন্য আসে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ব্যবসায়ীরা জানান, রংপুর নগরীর কাপড়ের মার্কেট মতি প্লাজার পেছনের দিকে জেনারেটরের মাধ্যমে ফোমের গোডাউনে আগুন লাগে।
মুহূর্তে আগুন দাউ দাউ করে জ্বলে উঠলে কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় মতি প্লাজা।
এ সময় আতঙ্কিত ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানের কাপড়, জুতা-স্যান্ডেল নিয়ে রাস্তায় দৌড়ে আসে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ছুটে এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে।ফায়ার সার্ভিসের সদস্য জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে থাকলে ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট কাজ শুরু করে।
প্রায় ১ ঘণ্টা প্রচেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এদিকে ঈদের আগে মার্কেটে আগুন লাগার ঘটনায় দিশেহারা হয়ে পড়েন অর্ধশত ব্যবসায়ী।প্রত্যক্ষদর্শী আমির ইসলাম বলেন, আমি দোকানে বসে আছি। হঠাৎ দেখতে পেলাম ধোঁয়া বের হচ্ছে।
প্রথমে ভেবেছিলাম এটা রান্নার ধোঁয়া।
কিন্তু পরে যখন কালো ধোঁয়া বের হওয়া শুরু করল, তখন বুঝতে পারি মার্কেটে আগুন লেগেছে।পরে ফায়ার সার্ভিসে ফোন দেওয়া হলে তারা আসে এবং আগুন নেভানোর কাজে লেগে পড়ে।
মতি প্লাজার কাপড় ব্যবসায়ী সামি উন নাহার সামি জানান, ঈদের আগে আমাদের বেচাকেনা ভালোই চলছিল।ঈদকে ঘিরে আজই সবচেয়ে বেশি গ্রাহক মার্কেটে এসেছে। হঠাৎ করে ১টি ছেলে এসে বলল,
জেনারেটর থেকে আগুন লেগেছে। আমরা আগুন লাগার কথা শুনে তাৎক্ষণিক বাইরে থাকা কাপড়চোপড় নিয়ে বাইরে ছুটে আসি।
পরে ফায়ার সার্ভিসে ফোন দিলে তারা আগুন নেভানোর কাজে লেগে পড়ে। আগুন যে জায়গায় লেগেছে ফায়ার সার্ভিস সেই
জায়গা শনাক্ত করতে পেরেছে বলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেছি। রংপুর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক আব্দুল হামিদ বলেন, আমাদের ৮টি ইউনিটের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বেশ কিছু দোকানের কাপড়সহ অন্যান্য পণ্য পুড়ে গেছে।
আমরা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধানে ১টি তদন্ত কমিটি করব। সেই কমিটি আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে এ নিয়ে প্রতিবেন দিবেন।