রংপুর জুড়ে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা
মাটি মামুন রংপুর:
প্রতিদিনই রংপুর মহানগরীসহ বিভাগের আট জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
বর্তমানে এ বিভাগের জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ৫২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।ইতিমধ্যেই রংপুরে একজন মারা ও গেছেন।এদিকে এডিস মশার লার্ভা নিধনে রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) অভিযান চলছে।
রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) ৩৩ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ডেঙ্গুর রেড জোনে রয়েছে ১৫টি ওয়ার্ড।ওই সব ওয়ার্ডে এডিস মশার লার্ভা রয়েছে সহনীয় পর্যায়ের বেশি।তবে রসিক স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানা গেছে, সিটি এলাকার ১৫ টি ওয়ার্ড নিয়ে আগে পৌরসভার ছিল।মূল শহর এই ১৫ টি ওয়ার্ড ঘিরে।এসব এলাকায় জনসংখ্যা অনেক বেশি এবং ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা।
এসব এলাকার জনগণের অসচেতনতায় এডিস মশার লার্ভা তৈরি হচ্ছে এবং মানুষ জনের ডেঙ্গু আক্রান্তের শঙ্কা রয়েছে।
গত সপ্তাহে অভিযান চালিয়ে মহানগরীর ৩ টি স্থানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ার পরে সিটি করপোরেশন, সিভিল সার্জন অফিস, স্বাস্থ্য বিভাগ ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছে।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, রংপুর বিভাগে এ পর্যন্ত ১৭৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে ৫২ জন রোগী চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন।এরমধ্যে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২৪ জন এবং অন্যত্র আরও রয়েছেন। লালমনিরহাটে ৪ জন,কুড়িগ্রামে ৩ জন, নীলফামারীতে ৪ জন, গাইবান্ধায় ৩ জন, দিনাজপুরে ১০ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ২ জন এবং পঞ্চগড়ের হাসপাতালে একজন চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এর মধ্যে গত ৪ জুলাই রমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডেঙ্গু আক্রান্ত এক রোগী মারা যায়।ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের রমেক হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।রসিক স্বাস্থ্য বিভাগ প্রধান ডা.কামরুজ্জামান ইবনে তাজ এই প্রতিবেদক কে বলেন, মহানগরীর ১৫টি ওয়ার্ডে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। নিমূলে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে সচেতনতা
মূলক প্রচারণা এবং ভ্রাম্যমাণ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।রংপুর সিফিল সার্জন ডাক্তার মোঃ জাহাঙ্গীর কবির জানান জেলা ৬ জন ডেঙ্গু আছে। তারা ঢাকা ফেরত ।
এ মধ্যে পীরগগ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ২জন মিঠাপুকুর স্বাস্য কেন্দ্রে ২ জন এবং পীরগাছা স্বাস্যকেন্দ্রে ১ এবং রমেক হাসপাতালে ১ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা.ইউনুস আলী বলেছেন, রমেক হাসপাতালে ২৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীরা পর্যাপ্ত চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তিনি জানান গত মঙ্গলবার (৪ জুলাই) চিকিৎসাধীন অবস্থায় রমেক হাসপাতালে এক ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয় ।এরপর রমেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে সব রোগীকে একসঙ্গে রাখা হলেও এখন কিছুটা তৎপর হয়েছে প্রশাসন।
নতুন ভবনের দ্বিতীয় তলার মেডিসিন ২৯ নং ওয়াডের ৩ নম্বর এবং ৬ নম্বর ইউনিটে রাখা হয়েছে ডেঙ্গু রোগীদের।
তবে এখনো ডেঙ্গু আক্রাশ রোগীদের চিকিৎসায় রমেক হাসপাতালে আলাদা কোনো ওয়ার্ড নির্ধারণ করা হয়নি। বর্তমানে সেখানে রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ জনে।