রংপুর নগরীর সদর হাসপাতালে চাঁদাবাজি ঘটনায় আহত ৬ র,মে,কে ভর্তি
মাটি মামুন রংপুর।
স্থানীয় ও এজাহার সূত্রে জানা যায়।
গতকাল ৪ এপ্রিল সোমবার সকাল ৮ টা দিকে
নগরীর সদর হাসপাতাল সুইপার কলোনীতে
চাঁদাবাজি ঘটনায় হরিজন সর্ম্পদায়ের দু গ্রুপে সংঘর্ষ হয়।এসময় আহত হন ৬ জন তাদের কে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।জানা গেছে হামলাকারীরা হরিজন সর্ম্পদায়ের
সুইপার কলোনীতে চাঁদাবাজি করে চলে সব সময়শ্রী চঞ্চল বাসফোর এর পুত্র টুটুল বাসফোর, তপন বাসফোর, ও তাদের ভাড়াটে গুন্ডাবাহিনি।চাঁদাবাজি করার সময় সুভাষ বাসফোর সিলিপ বাসফোর বাঁধা দিলে তাদের উপর চড়াও হয়ে হামলা চালায়।
এসময় প্রতিবেশি নয়ন, দিলিপ, চাদনি, রাজু, পায়েল, জীবন ও সুমন বাসফোর ঘটনাস্থলে এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
ঘটনাস্থল থেকে তাদের কে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করেন।
এবিষয়ে রংপুর মেট্রো কোতোয়ালি থানায়
শ্রীমতি শ্যামলী রানী বাসফোর বাদি হয়ে নাম ধারি ৪ জন ও অজ্ঞাত ৫ /৬ জন আসামি করে মামলা দায়ের করেন।মামলায় উল্লেখ আসামী ১। শ্রী টুটুল বাসফোর (২৭)
২। শ্রী তপন বাসফোর (১৮) উভয় পিতা শ্রী চঞ্চল বাসফোর ৩। শ্রীমতি হন্তি রানী বাসফোর (৪৮) স্বামী শ্রী চঞ্চল বাসফোর ৪।
শ্রী চঞ্চল বাসফোর (৫২) পিতা মৃত মনিলাল বাসফোর সকলেই সদর হাসপাতাল সুইপার
কলোনীর বাশিন্দা।এবিষয়ে আজ ৫ এপ্রিল সকালে আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন ও শারক লিপি দেন রংপুর জেলা প্রশাসক এর কার্যলায়ে।
এবিষয়ে মামলার বাদিনী শ্যামলী রানীর সাথে কথা বলতে তিনি সাংবাদিক দের জানান।টুটুল বাসফোর গং-বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করিয়া শত্রুতা চলিয়া আসতেছে।
এবং সব সময় তারা চাঁদাবাজি করে চলে তাদের নামে একাধিক মামলা থাকার পরও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কেনো যে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করেনা তা আমার বুঝে আসেনা।
আমার ছোট ভাই শ্রী সুভাষ বাসফোর প্রতিবেশী সিলিপ বাসফোর সহ আসামীরা আমাদেরকে দেখে নিবে বলিয়া হুমকি দিয়ে আসছে।ঘটনার দিন সকালে বাড়ির সামনে উক্ত আসামীরা কাঠের লাঠি, লোহার রড হাতে নিয়ে আমার পিতা কে অকথ্য ভাষায়
গালিগালাজ করতে থাকে,এরপর ৩নং আসামীর হুকুমে অন্যান্য আসামী আমার পিতাকে ধরিয়া এলোপাতারী মারডাং করার একপর্যায়ে ২নং আসামী হাতে থাকা কাঠের লাঠি দিয়ে আমার পিতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সজোরে ডাং মারিয়া মাটিতে ফেলে দেয়।
১নং আসামী হাতে থাকা লোহার পাইপ দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার পিতাকে ডাং
মারিলে আঘাত লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পিতার ডান পায়ের হাটুর নিচে গোড়ালির উপরে লাগিয়া ভেঙ্গে গিয়ে গুরুতর জখম প্রাপ্ত হয়।
৩নং আসামীও পিতাকে লাথিগুড়ি মারতে থাকে।
স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে আসলে আসামী পালিয়ে যায়।এখন আসামীরা হুমকি দিচ্ছে মামলা না তুলে নিলে আমার ভাই সুভাষ বাসফোর, সুজন বাসফোর এবং আমাদেরকে খুন জখম করিয়া লাশ গুম করিবে, জবাই
করিবে, আমাদের বড় ধরনের ক্ষতি করবে বিভিন্ন হুমকি দিচ্ছে ।এবিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার ওসি মাহাফুজার রহমান এর সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন অভিযোগ এসেছে আসামী গ্রেফতার প্রক্রৃয়াধীন।