মোকাররম হোসেন বালিয়াকান্দি( রাজবাড়ী)
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে. মুরগী ফার্ম কর্মচারী আল আমিন. (১৭). ফার্ম থেকে নিখোঁজ হওয়ার ৮৪ দিন পর হাড়গোড় উদ্ধার করে পুলিশ।
আল আমিন রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার সদর ইউনিয়নের আকিদুল মোল্যার ছেলে।(৪ ডিসেম্বর) রবিবার সন্ধ্যায় নিহত আল আমিনের ব্যবহৃত মোবাইল উদ্ধারে অভিযান চালায় সিআইডি। অভিযান টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়া কৃষক সোহেল মোল্যা কসিম (৩৮) সোমবার ভোরে স্টক করে মারা গেছে।
সে বালিয়াকান্দি ইউনিয়নের খোর্দ্দমেগচামী গ্রামের মোঃ নবিয়াল মোল্যার ছেলে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজবাড়ী মর্গে প্রেরণ করেছে।
জানাগেছে, বালিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের পাইককান্দি গ্রামের মোঃ আহাদ আলী ফকিরের ছেলে মিজানুর রহমানের মুরগী ফার্মে বেতনভূক্ত কর্মচারী হিসেবে কাজ করতো আল আমিন। রাতেও ফার্মে অবস্থান করতো। গত ৬ সেপ্টেম্বর রাতে খাওয়া শেষে মুরগী ফার্মেই ঘুমিয়ে পরে। পরদিন সকালে আর তাকে পাওয়া যায়নি। তার সন্ধান না পাওয়ায় গত ১১ সেপ্টেম্বর বালিয়াকান্দি থানায় একটি নিখোঁজ ডায়রী করেন আল আমিনের পিতা মোঃ আকিদুল মোল্লা। (বালিয়াকান্দি থানার নিখোঁজ ডায়রী নং ৪৫৩/২২) । পরে তিনি রাজবাড়ী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। ( মিসপি-৩৭২/২২)। মামলাটি রাজবাড়ী সিআইডি তদন্ত করছেন। গত ৩০ নভেম্বর দুপুরে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার মেগচামী ইউনিয়নের বিলসিংহনাথ বিলের ধান ক্ষেত থেকে হাড়গোড় উদ্ধার করে। পড়ে থাকা বেল্ট দেখে আল আমিনের হাড়গোড় বলে সনাক্ত করে স্বজনরা।
খোর্দ্দমেগচামী ঈদগাহ সংলগ্ন চায়ের দোকানী ইয়াছিন মোল্যা বলেন, কসিমের মোটরসাইকেল সড়কের পাশে রেখে চায়ের দোকানে বসা ছিল। সিআইডির লোকজন এসে বলে মোটরসাইকেল মালিক কই, একথা শুনে কসিম পালিয়ে যায়।
নিহত সোহেল মোল্যা কসিমের ফুফাতো ভাই ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার চরমেগচামী গ্রামের হাসিবুল হাসান বলেন, রাতে আমাদের বাড়ীতে আশ্রয় নেয়। সকালে অসুস্থতা বোধ করলে তাকে ভ্যান যোগে মধুখালী হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়।
রাজবাড়ী সিআইডির ইন্সপেক্টর জিল্লুর রহমান বলেন, হাড়গোড় উদ্ধার করে মধুখালী থানা পুলিশ ফরিদপুর মর্গে প্রেরণ করেছেন। সেখান থেকে ডিএনএ টেস্ট করে নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে আল আমিনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের সন্ধান পেয়ে রবিবার সন্ধ্যার পর খোর্দ্দমেগচামী গ্রামের সোহেল মোল্যা কসিমের বাড়ীতে অভিযান চালানো হয়। তার বাড়ীতে গিয়ে নিশ্চিত হওয়া যায় মোবাইলটি কসিম ব্যবহার করছে। পরে খোর্দ্দমেগচামী ঈদগাহের নিকট চায়ের দোকানে সোহেল মোল্যা কসিমের সন্ধান পেলে সেখানে অভিযান চালানো হয়। অভিযান টের পেয়ে সে তার ব্যবহৃত পালসার মোটরসাইকেল রেখে পালিয়ে যান। পরে বালিয়াকান্দি থানা পুলিশের সহযোগিতায় মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
বালিয়াকান্দি থানার ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, রবিবার রাতে মোটরসাইকেল এনে থানায় রাখা হয়েছে।(৫ ডিসেম্বর) সোমবার দুপুরে কসিমের লাশ উদ্ধার করে অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে, ময়না তদন্তের জন্য রাজবাড়ী মর্গে পাঠানো হয়েছে।