সলঙ্গায় সচিবের চেয়ারে চৌকিদার দীপকের রাজত্ব
জাকির হোসাইন,চলনবিল প্রতিনিধিঃ সিরাজঞ্জের সলঙ্গায় ধুবিল ইউনিয়ন পরিষদের তথ্যসেবার কেন্দ্রের কাজ ও ইউপি সচিবের কাজ করছে একই ইউপির কর্তরত চৌকিদার (গ্রাম পুলিম) ধুবিল ইউনিয়নের মেহমানশাহী গ্রামের শ্রী বিনয় কুমার সরকারের ছেলে দীপক কুমার (৩০)।
ধুবিল ইউনিয়ন পরিষদের দ্বিতীয় তলায় তথ্যসেবা কেন্দ্রের নির্ধারিত অফিস থাকলে ও ধুবিল ইউনিয়ন পরিষদের কোন কাজ পায় না তথ্যসেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা রমজান আলী।
তিনি বলেন ধুবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান তালুকদার রাসেল এর নির্দেশেই পরিষদ ভবনের দ্বিতীয় তলায় তথ্য-সেবা কেন্দ্রের বিপরিতে পাশের রুমে চেয়ার টেবিল সহ সকল আসবাব পত্র নিয়ে সাজানো গুছানো অফিসটি ব্যাবহার করছেন ইউনিয় পরিষদের গ্রাম পুলিশ দিপক কুমার।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়-গ্রাম পুলিশ দিপক চেয়ারের মধ্যে বসে ৩শত টাকা করে নিয়ে জন্মনিবন্ধ আবেদন কাজ করছে। সেবা নিতে আশা ব্যাক্তিরা কাগজের মধ্যে টাকা জরিয়ে লাইন দিয়ে দারিয়ে আছে। তারা বলেন তারা সচিব সাহেবের কাছে এসেছেন।
সচিব সাহেব কে জানতে চাইলে! উপস্থিত সেবা প্রার্থীরা মাস্ক,প্যান্ট সার্ট পড়া সাহেব সেজে বসে থাকা চৌকিদার দীপক কুমারকে দেখিয়ে দেয়।
এ-বিষয়ে চৌকিদার দীপক কুমারে নিকট জানতে চাইলে সে বলে নিজেকে চৌকিদার অস্বিকার করেন। পরে আবার সে নিজেকে চৌকিদার পরিচয় দিয়ে বলেন-সে সচিব ও চেয়ারম্যানে নির্দেশের এখানে কাজ বলে রুমে তালা দিয়ে দ্রæত পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে ধুবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান তালুকদার (রাসেল) বলেন-চৌকিদার সরকারী চাকুরী করে,সে সরকারী বেতন খায় তাই সে যে কোন অফিসেই বসতে পারে। অপরদিকে তথ্য সেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা রমজান আলীর কাজ সরকারী না হওয়ায় আমরা তাকে কোন কাজ দেই না।
মুঠোফোনে রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৃপ্তি কণা মন্ডল এর কাছে জানতে চাইলে-বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিবেন বলে জানান তিনি। উল্লেখ্য,ইতি পুর্বে এমন ঘটনায় অনেক কেই অন্যত্র বদলি করা হয়েছে।