সামগ্রিক উন্নয়ন করতে শুধু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাকা জরুরি: মাশরাফি
খন্দকার সাইফুল। নিজস্ব প্রতিবেদ। নড়াইল।
আমি দেশের উন্নয়নে, নড়াইলের উন্নয়নে না থাকলেও হয়ত কিছু যায় আসে না। কিন্তু সামগ্রিক উন্নয়ন করতে শুধু একজনের থাকা জরুরি, তিনি আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটা আপনাদের মনেপ্রাণে বিশ্বাস ও আস্থা রাখতে হবে।
আমরা যারা আছি তারা আপার (শেখ হাসিনা) প্রতিনিধি ও আপনাদের সেবক মাত্র। নড়াইলবাসী যা পেয়েছেন সব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, আমি শুধু বাহক হিসেবে আপনাদের কাছে পৌঁছে দিতে চেষ্টা করছি মাত্র। ধারাবাহিক উন্নয়নযাত্রা ধরে রাখতে আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করার বিকল্প নেই।
আপনাদের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করাই আমার দায়িত্ব। আমার প্রতি আস্থা রাখুন, আমি বসে নেই। বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) বিকেলে ‘জনতার মুখোমুখি জনতার সেবক’
শ্লোগানকে সামনে রেখে নড়াইল সদর উপজেলার বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের দারিয়াপুর
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জনতার প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মাশরাফী বিন মুর্তজা বলেন, আপনাদের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করাই আমার দায়িত্ব।
আমার প্রতি আস্থা রাখুন, আমি বসে নেই। আপনাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আজ এখান থেকে সেসব সমস্যা উঠে এসেছে এসব সমাধানে আমি কাজ করব।
আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক এবং নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা বলেছেন, নড়াইলে যে উন্নয়ন হয়েছে চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি বিগত চল্লিশ বছরেও এত কাজ হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পুনরায় ক্ষমতায় আনতে পারলে ২০২৭ সালের মধ্যে নড়াইলে একটিও কাঁচা রাস্তা থাকবে
না। এই নিশ্চয়তা আপনাদেরকে আমি দিয়ে যাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম উজ্জ্বলের উপস্থাপনায় ও বাঁশগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো: আলা উদ্দিন মোল্যার সভাপতিত্বে বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের কৃতি সন্তান জেলা আওয়ামীলগের যুগ্ন সাধারন
সম্পাদক বাবুল কুমার সাহা, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোকেট ওমর ফারুক,সমাজ সেবক ইডেন এন্টার প্রাইজের প্রোপাইটার মোঃ রেজাউল আলম, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান তোফায়েল আহম্মেদ তুফান, বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলাম ফকির, বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্যের কাছে চিকিৎসা, রাস্তাঘাট, বাজার, খেলার মাঠ, ব্রিজ-কালভার্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির, ঈদগাহ, শ্মশান, সংস্কার ও নির্মাণসহ বিভিন্ন দাবি-দাওয়া পেশ করেন ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা, কৃষক, ছাত্র, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধিসহ সাধারণ জনগণ।
এ সময় সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা জনগণের এসব দাবি নোট করেন এবং ধারাবাহিকভাবে তাদের প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দেন।
মাশরাফি বলেন, আপনারা এলাকার রাস্তাঘাটের সমস্যার কথা বলেছেন। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নড়াইল জেলাকে ২৫০ কোটি টাকার প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছেন যা
আপনাদের মধ্যে অনেকেই হয়ত জানেন না। এই টাকার কাজ কিন্তু একবারে হবে না, ধাপে ধাপে হবে। পুরোটা দৃশ্যমানের জন্য ২০২৭ সাল পর্যন্ত আপনাদেরকে অপেক্ষা করতে হবে। এলাকায় আগে হাঁটু পর্যন্ত কাদা ছিল, কোনো এলাকায় নৌকায় করে যাতায়াত করা লাগত। অনেক সময় অসুস্থ রোগী হাসাপাতালে যাওয়া তো দূরে
থাক পথেই মারা যেত। সেসব অবস্থার উন্নতি হয়েছে, এখন আপনাদের সেই দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতু হওয়ার আগে আমরা অনেকেই বলতাম ও (পদ্মা সেতু) হবে না। সেতু হলো তাও আমাদের মনে সংশয়। যতক্ষণ আমরা নিজেরা গাড়িতে করে পদ্মা সেতু পার না হতে পারছি ততক্ষণ বিশ্বাস করিনি। গাড়িতে করে এই অঞ্চলের মানুষ এখন ২ ঘণ্টায় ঢাকায় আসা-যাওয়া করছি। আমরা এমন এক জাতি নিজেরা দেখে বিশ্বাস করি, শোনা কথায় আমাদের ভরসা নেই। তাই নড়াইলের দৃশ্যমান উন্নয়নের জন্য আপনাদেরকে সর্বোচ্চ তিন থেকে চার বছর অপেক্ষা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আপনারা ভালোবেসে আমাকে বুকে আগলে নিয়েছেন। আমার মূল কাজ
আপনাদের জন্য কাজ এনে দেওয়া। এতটুকু বিশ্বাস রাখুন, আমি আপনাদের জন্যই প্রতিনিয়ত দৌড়েছি, আপনাদের জন্যই কাজ করেছি, ঘরে বসে থাকিনি। আপনারা বিগত চল্লিশ বছর ধরে ধৈর্য ধরেছিলেন, অনুরোধ করছি আর মাত্র তিন থেকে চার বছর অপেক্ষা করুন। নড়াইলের উন্নয়নের চিত্র আপনাদের চোখের সামনে দৃশ্যমান হবে ইনশাআল্লাহ।