জাফরুল সাদিক,বগুড়া প্রতিনিধি:
বগুড়ার সারিয়াকান্দির যমুনা ও বাঙালী নদীর চরাঞ্চলে মাষকলাইয়ের বাম্পার ফলন হয়েছে। সে সাথে বাজারে দাম ভাল থাকায় চাষীদের মুখে হাসির ঝিলিক দেখা দিয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস ও চাষীরা জানান, যমুনা ও বাঙালী নদীর বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে উর্ব্বর পলি মাটির চর জেগে উঠে। অসমতল চরের এসব জমিতে সেচ নির্ভর অন্য কোন ফসল করা সম্ভব পর না হওয়ায় চাষীরা ব্যাপক ভাবে মাষকালাই চাষে ঝুঁকে পড়েন। এবছর উপজেলার চরাঞ্চলে ৫শ ৪০হেক্টর জমিতে মাষকালাইয়ের চাষ করা হয়েছে। বপনের পর হতেই আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় মাষকালাই ডালের বাম্পার ফলন হয়েছে।
কর্নিবাড়ী ইউনিয়নের চরের চাষী আলমগীর হোসেন ২বিঘা,কাজলার ছালাম ব্যাপারী ৬ বিঘা হাসেম আলী ২০শতক ও চন্দনবাইশা ইউনিয়নের টেকামাগুড়া চরের চাষী খয়বর প্রামানিক ১৮বিঘা, রশিদ মুন্সী ৪বিঘা, আব্দুল আকন্দ ১৩ বিঘা ও আজিজার রহমান ১০ জমিতে মসূর কালাইয়ের আবাদ করেছেন। তারা জানান,এবার ১২০/১৫০ টাকা কেজি দরে বীজ ক্রয় করে।
এক চাষ,সামান্য রাসায়নিক সার প্রয়োগ ও কাটামাড়াইসহ খরচ হয়েছে ১৫/১৬শ’টাকা। যেখানে প্রতি বিঘা জমিতে ৩/৪ মন করে কালাই উৎপন্ন হতো বাম্পার ফলন হওয়ায় সেখানে এবার ৬/৭মন করে মাষকালাই পাওয়া যাচ্ছে। কাটা মাড়াইয়ের পর উপজেলা বিভিন্ন হাটে-বাজারে প্রতি মন মসূরের ডাল ৪হাজার হতে ৪২শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অল্প পরিশ্রমে চাষীরা চরের জমিতে মাষকলাইয়ের চাষ করে লাভবান হচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হালিম জনান, মাসকালাই একটি লাভজনক ফসল। তাছাড়াও কম সময়ে অধিক লাভ হওয়ায় কৃষকরা মাসকালাই চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।