সালথায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরের সালথায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস ২০২৩ইং উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে
সোমবার (১৭ এপ্রিল) বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এই আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আক্তার হোসেন শাহীনের সভাপতিত্বে এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ওয়াদুদ মাতুব্বর।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ সালাহউদ্দিন আইয়ূবী, উপজেলা কৃষি অফিসার (কৃষিবিদ) জীবাংশু দাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুকুজ্জামান ফকির মিয়া,
উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার সৈয়দ ফজলে রাব্বি নোমান, সালথা মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ আবু নাসের হুসাইন প্রমুখ। এছাড়াও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সূচনাপর্বের এই দিনে তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুর মহকুমার (বর্তমানে জেলা) বৈদ্যনাথতলার (বর্তমান মুজিবনগর) নিভৃত এক আমবাগানে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নিয়েছিল স্বাধীন বাংলার অস্থায়ী বিপ্লবী সরকার। পরে ওই আমবাগানকে
‘মুজিবনগর’ নামকরণ করে বাংলাদেশের অস্থায়ী রাজধানী ঘোষণা করা হয়। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ১৭ এপ্রিল এক অবিস্মরণীয় দিন। সেদিন মুজিবনগর সরকারের শপথের মধ্য দিয়ে মূলত মুক্তিযুদ্ধ প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়।
মুক্তিযুদ্ধের সফল পরিণতিও ঘটে এ সরকারের দক্ষ পরিচালনায়। মুজিবনগরে সেদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপরাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে গঠিত বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ নেয়।
তবে পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে করা হয় অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি। এর আগে, পাকিস্তানি শোষণ থেকে মুক্তির লক্ষ্যে ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানের (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন।
এরপর ২৫ মার্চের কালরাতে পাকিস্তান বাহিনী বাঙালি নিধনযজ্ঞ শুরু করলে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান।
স্বাধীনতা ঘোষণার পরপরই ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাসভবন থেকে বঙ্গবন্ধুকে বন্দি করে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যায় হানাদার বাহিনী। এরপর ১০ এপ্রিল বিপ্লবী সরকার গঠন ও ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে সেই সরকারের আনুষ্ঠানিক শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।