জসিম উদ্দিন, বেনাপোল (যশোর) :
যশোরের ঝিকরগাছায় সিজারিয়ান অপরেশনের সময় মুসলিমা খাতুন (২৮) নামে এক রোগীর পেটে গজ (মগ) রেখে সেলাই করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি উপজেলার বাঁকড়ায় মারুফ হোসেনের পরিচালিত সায়েরা ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুণরায় অপারেশন করে ওই রোগীর পেট থেকে গজ (মগ) অপসারণ করেন চিকিৎসকরা। ভুক্তভোগী মুসলিমা খাতুন বাঁকড়ার উজ্জলপুর গ্রামের মিজানুর রহমান স্ত্রী।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, সিজারিয়ান সমস্যা নিয়ে গত ১৪ই নভেম্বর স্ত্রীকে নিয়ে বাঁকড়া টু ঝিকরগাছা সড়কে অবস্থিত ফারুফ হোসেনের পরিচালিত সায়েরা ক্লিনিকে ভর্তি করেন মিজানুর রহমান। ঐ দিনই ডা: নাইমুর রহমান সিজারিয়ানের মাধ্যমে একটি সন্তান প্রসব করান।
মুসলিমা খাতুনের স্বামীর অভিযোগ, সিজারিয়ান অপরেশন কালে ঐ চিকিৎসক ভেতরে একটি গজ রেখে বাইরে থেকে সেলাই করে দেন। কিছুদিন পরে রোগীর ঐ স্থানে ব্যথা হতে থাকে এমনকি ঐ স্থানে পচন ধরতে শুরু করে। পরে সায়েরা ক্লিনিকের কর্মরত চিকিৎসককে জানালে গজ রেখে সেলাই করে দেওয়ার বিষয়টি তিনি অকপটে শীকার করেন।
এদিকে ক্লিনিকের পরিচালক মারুফ হাসানও বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, অপরেশনের সময় দুটি গজ ছিলো। একটি গজ বের করা হলেও ভুলে অপরটি ভেতরেই রয়ে যায়। এটা হয়তো ভুলে হয়েছে। রোগিরা সমস্যা নিয়ে আমার এখানে আসলেও তাকে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি বলে তিনি জানান।
এদিকে উক্ত ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ মানুষের মাঝে এক প্রকার বিষয়টি নিয়ে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। উর্ধতন কতৃপক্ষের নিকট সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে ক্লিনিকটি বন্ধ সহ ক্ষতিপূরণ দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে চিকিৎসক ডা: নাইমুর রহমান বিষয়টি রহস্যজনক বলে আনিত বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এব্যাপারে যশোর জেলা সিভিল সার্জন বিপ্লব কান্তি জানান, ঘটনাটি খুবই দু:খজনক। এ বিষয়ে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।