সুন্দরগঞ্জে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করেও আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর পাচ্ছেন না ভুমিহীন রহেদ আলী
মোঃ আব্দুল আজিম, স্টাফ রিপোর্টারঃ
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে পর্যাক্রমে দেশের প্রত্যেকটি মানুষকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত করার লক্ষ্যে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর সারা দেশের ন্যায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ২ হাজার পরিবার
আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়েছেন। স্বচ্ছ ও সঠিক ভাবে তদন্তপূর্বক প্রকৃত ভূমিহীনদের মাঝে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর বরাদ্দ দেয়ায় প্রশংসায় ভাসছেন সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারি কমিশনার ভূমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট। সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সহকারী
কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাসুদুর রহমান যোগদানের পর থেকে সততা ও সাহসিকতার সাথে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। তার কার্যক্রমে সন্তুষ্ট উপজেলাবাসী।
এদিকে উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউপির কিশামত হলিদয়া মৌজায় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয় প্রকল্পের এক সুবিধাভোগী রাঙ্গা মিয়া প্রধানমন্ত্রীর উপহাকৃত ঘর ছেড়ে দেয়ার কথা সুনে এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ঘরটি নিজ দখলে রাখার জন্য পায়তারা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
অন্যদিকে কি এক অজ্ঞাত কারণে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর থেকে বঞ্চিত প্রকৃত ভূমিহীন মোঃ রহেদ আলী। চাল নেই চুলো নেই এভাবেই অন্যের জমিতে কোন মতে একটি চালা ঘর তুলে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন রহেদ আলী।
তিনি প্রায় ৩০ বছর যাবত ধোপাডাঙ্গা ইউপির বজরা হালদিয়া গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের জমিতে বসবাস করছেন। বর্তমানে রহেদ আলীর জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘর পাওয়া খুবই জরুরী হয়ে পড়েছে।
বিষয়টি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাসুদুর রহমান আমলে নিয়ে সঠিক ভাবে তদন্তপূর্বক ঘরটি রহেদ আলীকে হস্তান্তর করবেন বলে ভূমিহীন রহেদ আলী আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
এবিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাসুদুর রহমান জানান, আমরা রহেদ আলীর আবেদনটি পেয়েছি বিষয়টি আমরা দেখবো, আবেদনের একটি কপি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে জমা দিয়ে রাখেন ।
এ ব্যাপাের ধোপাডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোখলেছুর রহমান মন্ডলের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি দীর্ঘদিন থেকে দেখে আসছি রহেদ আলী তার পরিবার পরিজন নিয়ে অন্যের জমিতে বসবাস করছেন তার কষ্ট লাঘব করতে তাকে আশ্রয়ন প্রকল্পের একটি ঘর দেয়া হবে।
অবশেষে কথা হয় ভুমিহীন রহেদ আলীর সাথে, কান্না জড়িত কন্ঠে তিনি বলেন, দেশের কোথাও আমার নিজেস্ব এক মুঠ মাটিও নেই। সারাজীবন পরিবার পরিজন নিয়ে অন্যের জমিতে চালা ঘর তুলে আছি।
আমি সরকারের একটি ঘরের জন্য অনেক ঘুরেছি। কিন্তু কেউ আমাকে একটি ঘর ব্যবস্থা করে দেননি।তিনি উপেজলা প্রশাসনের সু-দৃষ্টি আকর্ষণ করে আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপহারকৃত রাঙ্গা মিয়ার
বরাদ্দকৃত আশ্রায়ন প্রকল্পের ঘরটি তিনি ব্যবহার না করায় বর্তমানে ঘরটি পরিত্যাক্ত অবস্থায় না রেখে আমাকে হস্তান্তর করা হলে আমি সেখানে পরিবার নিয়ে শান্তিতে রাত কাটাতে পারি।