সুন্দরগঞ্জে ব্যাপক দুর্নীতি অনিয়মের মধ্য দিয়ে শেষ হতে যাচ্ছে ল্যাংগা খালের খনন কাজ
স্টাফ রিপোর্টারঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ৮নং ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়ন, রামজীবন ইউনিয়ন ও ছাপড়হাটি ইউনিয়ন এর ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়) ল্যাংগা খালের পলি অপসারন কাজের অর্ধেক শেষ হওয়ার পর শুভ উদ্বোধন করা হয়। যা ইতিমধ্যে সাধারণ মানুষের মাঝে প্রশ্নবিদ্ধ।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, এই ল্যাংগা খাল খনন কাজে ব্যাপক দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও কৃষকদের জমি সন্ত্রাসী কায়দায় দখলের অভিযোগে চলমান কাজ ২০ মার্চ বন্ধ করে দেন ধোপাডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মোখলেসুর রহমান মন্ডল।
কাজ বন্ধের ব্যাপারে চেয়ারম্যান মোঃ মোখলেসুর রহমান মন্ডল বলেন, এই প্রকল্পের কাজকে হাতিয়ার বানিয়ে একটি কুচক্রী মহল নিরীহ কৃষকদের রেকর্ডীয় সম্পদ হরিলুটের মহাৎসবে মেতেছেন। সিডিউল মোতাবেক কাজ না করায় এবং কৃষকদের জমি ফিরিয়ে দেয়ার জন্য এই কাজ বন্ধ করা হয়েছে। যদি সিডিউল মোতাবেক কাজ করা হয় তাহলে কৃষকদের জমি নদী গর্ভে যাবে না। তাই নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে কাজটি সাময়িক ভাবে বন্ধ করা হয়েছে।
এদিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাসুদুর রহমান জানান, এই কাজটি সম্পুর্ন দেখভাল করার দায়িত্বে রেয়েছেন উপজেলা এলজিইডি। তাই তাদের সাথে কথা বলতে পারেন।
অপরদিকে ১ এপ্রিল শনিবার বিকেলে উপজেলা এলজিইডির ইন্জিনিয়ার মোঃ শামসুল আরেফিন খানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমাদের কাজে কোন প্রকার দুর্নীতি বা অনিয়ম হয়নি। কয়েকজন জমির মালিকের দাবি থাকায় আমরা সেই স্থানের কাজ বন্ধ রেখে অন্য জাগায় কাজ শুরু করেছি। তবে কারো জমি এখনো অধিগ্রহণ করা হয়নি।
গ্রামবাসী ও জমির মালিকদের অভিযোগ, নদী ভাঙ্গন রক্ষা কমিটির বেশিরভাগ সদস্যকে সু-কৌশলে বাতিল করে এবং অনেক সদস্যকে অন্ধকারে রেখে ব্যাপক দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার মধ্যদিয়ে নদী খনন কাজ পরিচালনা করায় কাজটি বন্ধ করা হয়েছিল।
অবিলম্বে প্রকল্পের কাজ বাতিলের দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসী।