সাদিকুল ইসলাম সাদিক, সৈয়দপুর নীলফামারীঃ
নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের চীনা দোভাষী ভাগিনার বাড়িতে বিয়ের দাবীতে অবস্থান নিয়েছে আপন মামার সাবেক স্ত্রী। দুই সন্তানের জননী ডিভোর্সি ওই নারীর অভিযোগ বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে এখন গড়িমসি করায় বাধ্য হয়ে সে এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
এমতাবস্থায় ছেলেটি গা ঢাকা দিয়েছে এবং এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারী) সকালে সৈয়দপুর উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের নয়াপাড়া এলাকার হারুন উর রশিদের বাড়িতে। লোকজন দলে দলে ঘটনাস্থলে এসে সমবেত হয়ে জটলা করছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রায় ৩৫ বছর বয়সী ওই নারী বাড়ির সামনে অবস্থান করছেন। তিনি জানান, এই বাড়ির ছেলে সাদ্দাম হোসেনের সাথে দীর্ঘ ৬ মাস থেকে প্রেমের সম্পর্ক। প্রথম দিকে শুধু মোবাইলে কথা বলার পর্যায়ে থাকলেও গত সেপ্টেম্বরে স্বামী আরেকটি বিয়ে করায় তাকে ডিভোর্স দিয়েছি।
এসংক্রান্ত মামলা চলাকালে সাদ্দাম সহযোগীতা করে। এতে উভয়ের মাঝে সম্পর্ক আর গাঢ় হয়। একপর্যায় সে আমাকে বিয়ে করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক জড়ায়। রংপুর একটি আবাসিক হোটেলে একাধিকার মিলিত হয়েছি। একমাস যাবত সে সব ধরণের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
এতে ম্যাসেজে বাড়িতে চলে আসার হুমকি দিলে একসপ্তাহ আগে সে কথা দেয় আগামীকাল ২১ ফেব্রুয়ারী আমাকে বিয়ে করবে। কিন্তু গত শনিবার সে ব্যাপক ঝগড়া করে এবং মোবাইল বন্ধ করে রেখেছে। এখন পর্যন্ত বন্ধ আছে। একারণে বাধ্য হয়ে আজ সকাল ১০ টায় বাড়িতে এসেছি। এখনও সে পলাতক।
আমি বিয়ের প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চাই। নয়তো জীবন দেয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই। পরিবারের লোকজনও ছেলেকে উপস্থিত করছেননা। তারা উল্টা আমাকেই দোষারোপ করছেন। এতে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আজকের মধ্যে এটা সমাধান করা না হলে প্রশাসনকে জানিয়ে সুরাহা করতে হবে।
নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের একটি বিদেশী কোম্পানীতে চীনা দোভাষী হিসেবে কর্মরত সাদ্দাম হোসেনের মুঠোফোনে বার বার কল দিলেও বন্ধ পাওয়া যায়। এমতাবস্থায় তার বাবা হারুন উর রশিদ সহ পরিবারের লেকজন বলেন, মেয়েটির দুইটি মেয়ে আছে। এর মধ্যে একজন নবম শ্রেণীর ছাত্রী। চারিত্রিক ত্রুটির কারণেই স্বামীর সাথে ছাড়াছাড়ি হয়েছে।
তারা বলেন, সাদ্দাম কখনই বিয়ে তো দূরের কথা তার সাথে কোন সম্পর্কেই জড়ায়নি। আমরা কখনই এমন কোন কথা শুনিনি। সব তার বানানো কথা। তা না হলে মেয়েটাই সাদ্দাম কে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। আর এখন পরিবারকেসহ ব্লাকমেইল করতে এমন অপতৎপরতা শুরু করেছে। যা কোনভাবেই মেনে নেয়া হবেনা।