সত্যকণ্ঠ
  • Login
  • সারাবাংলা
  • ফিচার
  • দেশ
  • জাতীয়
  • ক্রাইম
  • জানা-অজানা
  • আন্তর্জাতিক
  • প্রযুক্তি
  • ইসলাম কথা
  • বিশেষ সংবাদ
  • বাণিজ্য
No Result
View All Result
  • সারাবাংলা
  • ফিচার
  • দেশ
  • জাতীয়
  • ক্রাইম
  • জানা-অজানা
  • আন্তর্জাতিক
  • প্রযুক্তি
  • ইসলাম কথা
  • বিশেষ সংবাদ
  • বাণিজ্য
No Result
View All Result
সত্যকণ্ঠ
No Result
View All Result
Home সারাবাংলা

স্বাধীনতার পাঁচ দশকেও অরক্ষিত বদ্ধভূমি মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষোভ

প্রকাশক by প্রকাশক
December 23, 2022
in সারাবাংলা
0
স্বাধীনতার পাঁচ দশকেও অরক্ষিত বদ্ধভূমি মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষোভ
0
SHARES
8
VIEWS
Share on FacebookShare on Twitter

পটুয়াখালী প্রতিনিধি:


ডিসেম্বর বাঙ্গালীদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের এক স্মরনীয় মাস। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ অপারেশন সার্চ লাইটের মাধ্যমে গনহত্যা শুরু করে পাক বাহীনি। একসাথে শত শত মানুষের লাশ মাটি খুঁড়ে দেয় হয় গন কবর। এই কালো রাতের পরেই গর্জে ওঠে বাঙ্গালী। আর শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। পাকিস্তানী হানাদার বাহীনির নির্মমতায় ঝড়ে যায় ৩০ লক্ষ তাজা প্রান। ১৬ ডিসেম্বর হানাদার বাহিনীর আত্মসর্ম্পনের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় বাঙ্গালীর স্বাধীনতা। শেষ হয় পাক হানাদার বাহিনীর শোষণ নিপিড়ন। জেগে ওঠে পৃথিবীর বুকে একখানা নতুন মানচিত্র।

যার নাম বাংলাদেশ। এদিকে সমগ্র বাংলা হানাদার মুক্ত হওয়ার আট দিন আগে ৮ ডিসেম্বর পটুয়াখালী হানাদার মুক্ত হয়। তবে যুদ্ধ চলাকালিন সময়ে সমগ্র দেশের মতো পটুয়াখালীতেও গনহত্যা চালায় পাক বাহিনী। কয়েকটি আলাদা স্থানে দেয়া হয় গন কবর। পটুয়াখালী পৌর এলাকার পুরাতন জেল খানা, যেটি বর্তমানে আনসার ব্যাটালিয়ন-৮ ক্যাম্প নামে পরিচিত। এই ক্যাম্পের মধ্যেও রয়েছে একটি গন কবর বা বদ্ধ ভূমি।

স্বাধীনতার পাঁচ দশক পেরিয়ে গেলেও বাংলার এই শ্রেষ্ঠ সন্তানদের কবরটি রয়ে গেছে অরক্ষিত অবস্থায়। কবরের আশেপাশের পরিবেশ দেখে বোঝার উপায় নেই সেখানে কখনো কোন কবর ছিল। প্রায় মাটির সাথে মিলিয়ে যেতে বসেছে কবরটি। বছরের মধ্যে মাত্র এক থেকে দুইটি বিশেষ দিনেই এই বদ্ধ ভূমিতে কিছু মানুষের আসা যাওয়া ব্যাতিত সারা বছর অবহেলায় পরে থাকে কবরটি। বীর শহীদদের কবরটি এমন ভাবে অরক্ষিত পরে থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীর বীর মুক্তিযোদ্ধারা।

বীর মুক্তিযোদ্ধা নির্মল কুমার রক্ষিত মুক্তিযুদ্ধের সময়ের কথা স্মৃতিচারন করে বলেন, যুদ্ধ চলাকালিন সময়ের এক পর্যায় পাক বাহীনি জেলার বিভিন্ন থানা থেকে তাদের সদস্যদের পটুয়াখালী সদরে নিয়ে আসে। এখানের সার্কিট হাউজে পাক বাহিনী জেলার প্রধান কার্যালয় স্থাপন করে।

এসময় তারা বিভিন্ন জায়গায় গনহত্যা চালায়। প্রথম গনহত্যা চালায় ইটবাড়িয়া ইউনিয়নে। সেখানে ২৪ জনকে হত্যা করে ও অনেক নারীকে ধরে নিয়ে এসে পাশবিক নির্যাতন চালায়। এর পরবর্তীতে লোহালিয়াতে গনহত্যা চালায়। বাউফলের ধুলিয়া ও কালিশুরি ইউনিয়নে গনহত্যা চালানো হয়। গলাচিপার চিকনিকান্দিতে গনহত্যা চালানো হয়।

পরবর্তীতে পটুয়াখালী জেল খানার অভ্যন্তরে শতাধীক লোককে নির্মম নির্যাতন চালিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। এবং সেখানে কয়েকটি কুপ খনন করে তাদেরকে মাটি চাপা দেয়া হয়। সেই বদ্ধ ভূমিটি আজও অরক্ষিত অবস্থায় রয়ে গিয়েছে। এছাড়াও যে সকল জায়গায় গনহত্যা চালানো হয়েছিলো সেরকম অনেক জায়গা এখনো চিহ্নিত করা হয়নি।

যেটি আমি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বলতে পারি যা বাংলাদেশের জন্য একটি নিন্দনীয় ব্যাপার। যেখানে সরকারের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও কিভাবে গনহত্যার স্থানগুলো চিহ্নিত হয়নি ও আমাদের জেল খানার মধ্যের বদ্ধ ভূমিটি অরক্ষিত রয়ে গেলো এটি প্রশাসন ও সরকারের কাছে আমার একটি প্রশ্ন।

এদিকে, আরো এক বীর মুক্তিযোদ্ধা অতুল চন্দ্র দাস বলেন, পটুয়াখালীর জেল খানায় যেটি বর্তমানে পুরাতন জেল খানা সেটির মধ্যে জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে হাজার হাজার পুরুষ

নারীদেও ধরে এন হত্যা করে। এর পরে বড় বড় কবর খুঁড়ে দশ জন বিশ জন করে মাটি চাপা দেয়। মাটি চাপা দেয়ার পরে ওভাবেই রাখে। পরে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে স্থানীয় প্রশাসন ও দেশের রাজনৈতিক নেত্রীবৃন্দর উপস্থিতিতে লাশ গুলো উত্তলন করা হয়। আমি দেখেছি সেই লাশের চিত্র। সেখানে মহিলাদের লাশ ছিলো, সাবেক পুলিশের লাশ ছিলো। আরো অনেক নামি দামি জানা অজানা বহু মানুষের লাশ ছিলো।

ওখানে প্রায় ১২০০ এর মতো লাশ ছিলো। পরে লাশ গুলোকে এক জায়গায় এনে জেল খানার এক কর্নারে পুনরায় দাফন করা হয়। এবং তখন একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমার দাবি ছিলো এখানে একটি সুন্দর স্মৃতিসৌধ হবে এবং স্মৃতিসৌধটি দৃশ্যমান হবেও এইটি একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে। কিন্তু সেটা আজ পর্যন্ত হয়নি। স্বাধীনতার দীর্ঘ দিন পরেও সেই জায়গাটি অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। খুবই কষ্ট হয়, খুবই দুঃখ হয়। যাদের জন্য আজ বাংলাদেশ তাদের মৃত্যুর পরের তাদের শেষ ঠিকানাটা নেই।

আমার দাবি যুদ্ধের সময় এখানে নর-নারী যারা মৃত্যুবরন করেছেন তাদের উদ্দেশ্যে এখানে একটি দৃষ্টিনন্দন একটি স্মৃতিসৌধ করা হোক। আমি পৌরসভা জেলা পরিষদ ও জেলা প্রশাসনকে অনুরোধ করছি তারা যেনো রাজনৈতিক ব্যাক্তিদেরকে সাথে নিয়ে একটি সুন্দর দৃষ্টিনন্দন স্মৃতিসৌধ গড়ে তোলেন। সেখানে যেনো আমরা যেতে পারি। আগামী প্রজন্ম যেনো দেখতে পারে স্বাধীনতার জন্য এদেশের যারা জীবন দিয়েছে তাদেও স্মৃতিস্তম্ভ।

এবিষয়ে পটুয়াখালী পৌর মেয়র মহিউদ্দিন আহম্মেদ জানান, আমাদের যে বদ্ধভূমিটা সেটা একটি জেল খানার মধ্যে অবস্থিত। আমরা অনেক বছর পরে হলেও সিদ্ধান্ত নিলাম মানুষের সহজ চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করতে।

জেলখানার একটি দেয়াল অপসারন করে বদ্ধভূমিটিকে মনুমেন্ট করে এটিকে যাতে মানুষ দেখতে এই জায়গাটি যাতে সবার নজরে আসে আমরা সেই ব্যাবস্থা করছি। এতে আমাদের নুতন প্রজন্ম জানতে পারবে এখানে কি হয়েছিল। জানতে পারবে স্বধীনতার যুদ্ধের সময় পটুয়াখালীবাসির কি ভূমিকা ছিলো।


Previous Post

নওগাঁয় ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী স্বামী-স্ত্রী নিহত;আহত-২

Next Post

চার কোটি টাকার সেতু এখন ‘গলার কাঁটা’ঝুঁঁকিপূর্ণ সাঁকো পারাপার

প্রকাশক

প্রকাশক

Next Post
চার কোটি টাকার সেতু এখন ‘গলার কাঁটা’ঝুঁঁকিপূর্ণ সাঁকো পারাপার

চার কোটি টাকার সেতু এখন ‘গলার কাঁটা’ঝুঁঁকিপূর্ণ সাঁকো পারাপার

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Recent News

  • জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকবে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
    জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকবে- [আরও বিস্তারিত পড়ুন]
  • আজকের শিশু তথা নতুন প্রজন্ম দেশ ও জাতির আগামী দিনের ভবিষ্যৎ
    আজকের শিশু তথা নতুন প্রজন্ম দেশ ও জাতির আগামী দিনের [আরও বিস্তারিত পড়ুন]
  • নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন জরুরি— মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
    নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন জরুরি— মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ [আরও বিস্তারিত পড়ুন]
  • জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৪ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
    জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৪ এর পুরস্কার [আরও বিস্তারিত পড়ুন]
  • ইলিশ রক্ষা আমাদের জাতীয় কর্তব্য— মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
    ইলিশ রক্ষা আমাদের জাতীয় কর্তব্য— মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ [আরও বিস্তারিত পড়ুন]
  • দেশীয় জাতের গবাদিপশু বিশ্বমানের পর্যায়ে উন্নীত করা সম্ভব— মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
    দেশীয় জাতের গবাদিপশু বিশ্বমানের পর্যায়ে উন্নীত করা [আরও বিস্তারিত পড়ুন]
  • ঈদ পরবর্তী পুনর্মিলনী সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ ঈদ অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তা- কর্মচারীদের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা- শারমীন এস মুরশিদ
    ঈদ পরবর্তী পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের সকল [আরও বিস্তারিত পড়ুন]
No Result
View All Result

বিশ্বাস ভিলা, নারিকেল বাড়িয়া, বাঘাড়পাড়া, যশোর-৭৪৭০
কপিরাইট © ২০২৩ satyakantho.com দ্বারা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত, এ ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password?

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In
Logo

উপদেষ্টা মন্ডলী : সম্পাদক:মুহাম্মাদ বিলাল হুসাইন,(এলএলবি শেষ পর্ব) ) নির্বাহী সম্পাদক:শামীমা আক্তার, বার্তা সম্পাদক:আবরার খান, নির্বাহী বার্তা সম্পাদক: মোঃ শাহিন কাদির।,

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বিশ্বাস ভিলা,সোনালী ব্যাংক রোড (বালিকা বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে )নারিকেলবাড়িয়া বাজার,বাঘারপাড়া, যশোর-৭৪৭০ মোবাইল:০১৬০০৩১০২৯১__০১৫৬৮৬৮৬৫৫৩__০১৮১৮৮৮৪১৪০ Email:satyakantho2022@gmail

কপিরাইট © ২০২৩ satyakantho.com দ্বারা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত, এ ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি

All Rights Reserved © 20223 _ www.satyakantho.com