বঙ্গবন্ধু জাতীকে পরাধীনতার শৃঙ্খলমুক্ত করেন আর শেখ হাসিনা আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন”
ফারহান-উর-রহমান সময়,তজুমদ্দিন (ভোলা) প্রতিনিধি:
জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আলোচনা সভায় ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন বলেছেন, পাকিস্তানের বন্দীদশা থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের এদিন জাতির
অবিসংবাদিত নেতা ও মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেন।
জাতীর পিতা তার সারাজীবনের সংগ্রামের মধ্যদিয়ে বাঙালির পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙ্গে জাতীকে স্বাধীনতার অমৃত স্বাদ দিয়ে গেছেন। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে স্বপ্নের পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল প্রকল্প, বঙ্গবন্ধু
টার্নেল, রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র, পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দরসহ অসংখ্য মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে দেশকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রুপ দিয়েছেন।
১০ জানুয়ারি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে তজুমদ্দিন উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাংসদ নুরুন্নবী চৌধুরী আরো বলেন,
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হলেও জাতির পিতার অনুপস্থিতিতে স্বাধীনতা পূর্ণতা পায়নি। ১০ জানুয়ারি স্বাধীন দেশে বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে তা পূর্ণাঙ্গ রুপ লাভ করে।
জাতির পিতার নেতৃত্বে আমরা যেমন আমাদের স্বাধীনতা লাভ করেছি, তেমনি তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলা নির্মাণের পথে এগিয়ে চলছি। শেখ হাসিনার হাতে দেশ রয়েছে বলে বাংলার মানুষ আজ নিশ্চিন্ত।
এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফখরুল আলম জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক দেওয়ান, সহ সভাপতি আবু তাহের মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন পোদ্দার, অধ্যক্ষ
হেলাল উদ্দিন সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল্যাহ কিরন, আওয়ামী লীগ নেতা মামুন আহম্মেদ, যুবলীগ সভাপতি মেহেদী হাসান মিশু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর বেগম শীলা, ওলামালীগের সভাপতি মাওলানা
রফিকুল ইসলাম, শম্ভুপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাসেল মিয়া প্রমূখ। এর আগে উপজেলা চত্ত্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও দলীয় কার্যালয়ে পতাকা উত্তোলন করেন নেতৃবৃন্দ।