স্টাফ রিপোর্টার:
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে আমদানি কমায় রাজস্ব আয় কমেছে। নতুন বছরে গত চার মাসে এই বন্দরের রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা চেয়ে ৪৯ কোটি টাকা ঘাটতি হয়েছে বলে জানিয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১২৭ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকা এর ভিতরে ইনকাম হয়েছে ১৩৭কোটি ৫০ লক্ষ টাকা।
গত ২০২১ ২২ অর্থবছরে বন্দরের আদর্শ আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৫৩ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা। সে সময় আহরণ হয় ৪২৯ কোটি ৯১ লক্ষ টাকা। ওই অর্থবছরে রাজস্ব আহরণের ঘাটতি দাঁড়ায় ২৩ কোটি ৭৯ লক্ষ টাকা।
নতুন বছরে আগের লক্ষ্যমাত্রার পেয়ে ১৫২ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকা বাড়িয়ে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের ৬০৬ কোটি ২৮ লক্ষ টাকা নির্ধারণ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ঘোষণা করে। সেই হিসাবে চলতি অর্থবছরে প্রথম মাস জুলাই মাসে বন্দর থেকে ৪২ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার আদর্শ শহরে লক্ষ্যমাত্রা বিপরীতে প্রহরিত হয়েছে ২৪ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকা।
আগস্টে ৪৯ কোটি ৬ লক্ষ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ব্যবহৃত হয়েছে ৩৮কোটি ৭৪ লক্ষ টাকা। সেপ্টেম্বর মাসে ৪২ কোটি ১৪ লক্ষ টাকা লক্ষের বিপরীতে ব্যবহৃত হয়েছে ৩৬ কোটি ৯৯ লক্ষ টাকা অক্টোবরে ৫৩ কোটি ৪৪ লক্ষের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরিতে ৩৭ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা।
হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের উপ- কমিশনার মোঃ বাইজিদ হোসেন বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছরে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৩০ ভাগ বাড়তি করে হিলি স্থল বন্দরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেন এনবিআর। এ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে এই বন্দর দিয়ে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ২৪১ টন পণ্য আমদানি করা হয়েছে যেখানে গত অর্থবছরের তুলনায় একই সময় বন্দর দিয়ে ৬ লাখ ৬৪৪টন পণ্য আমদানি করা হয়েছিল ।
ফলে গত অর্থবছরের তুলনায় এই অর্থবছরের প্রথম চার মাসে বন্দর দিয়ে একলাখ বত্রিশ হাজার চারশত তিন টন পণ্য কম এসেছে।আরো বলেন গত বছরের চেয়ে বিভিন্ন কারণে পন্য আমদানি কমেছে।
স্বাভাবিকভাবেই বন্দর থেকে রাজস্ব আহরণ করেছে বন্দরের রাজস্ব আহরণ নির্ভর করে মূলত পণ্য আমদানের উপর আমদানি বাড়লে রাজস্ব বাড়বে এটাই স্বাভাবিক।