পর্যটক শূন্য কুয়াকাটা সৈকত
জুয়েল ফরাজী, কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
সূর্য উদয় এবং সূর্যাস্তের বেলাভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটা পর্যটকদের কাছে প্রিয় একটি পর্যনট কেন্দ্র। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকেই এখানে দেশি-বিদেশি পর্যটকে মূখর হয়ে উঠে। সপ্তাহিক ছুটির দিন কুয়াকাটার অধিকাংশ হোটেল ও রিসোর্ট অগ্রিম বুকিং হয়ে যায়।
আজ বৃহস্পতিবার ১৮ কিলোমিটার সৈকতের জিরো পয়েন্টে হাতেগোনা কয়েকজন পর্যটকের দেখা মিললেও, লেম্বুর বন, তিন নদীর মোহনা, ঝাউবন, মিশ্রিপাড়া, সুটকি পল্লি সহ সবগুলি স্পটই বইছে সুনসান নীরবতা।
পর্যটকদের সেবা দানকারী স্পিড বোট, টুরিস্ট বোট রয়েছে নোঙ্গর করা, বন্ধ রয়েছে ফিস ফ্লাই মার্কেটসহ সী বীচের প্রায় কয়েকশো অস্থায়ী দোকান।
জানাগেছে, রমজানের শুরু থেকেই প্রায় শূন্য পড়ে আছে কুয়াকাটা অধিকাংশ হোটেল মোটেল এর কক্ষ। তবে ঈদের পর পরই পর্যটকদের আগমন ঘটবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
হোটেল কানসাই ইনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল আমিন বলেন, পুরো রমজান মাসজুড়ে গেস্ট খুবই কম, আমার কাছে মনে হচ্ছে পদ্মা সেতু চালুর পর এই প্রথম নিরব যাচ্ছে কুয়াকাটা। তবে ঈদের পরে গেস্টের চাপ আছে, ইতিমধ্য অগ্রিম বুকিং নিয়েছি।
হোটেল আমান ইন্টারন্যাশনাল এর ম্যানেজার মোঃ রিপন সাব্বির জানিয়েছেন, তাদের ১৭ টি কক্ষ আছে, তবে গতকাল কোন রুম বুকিং ছিলো না। তিনি আরো জানান রমজান শেষে পর্যটকদের চাপ সামাল দিতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (কুটুম) এর সাধারন সম্পাদক হোসাইন আমির বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পরে দক্ষিণ অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফুটেছে তবে বর্তমানে রমজান উপলক্ষে সাময়িক সময়ের জন্য ব্যবসা মন্দা যাচ্ছে। আশাকরি ঈদের পরে গেস্টের ভালো চাপ থাকবে ইনশাল্লাহ।
কুয়াকাটা পৌরমেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, বিগত দিনগুলোতে গেস্টের বেশ ভালোই চাপ ছিল আশাকরি ঈদের পরে কয়েকগুন বৃদ্ধি পাবে। তবে পর্যটকদের সাথে সুন্দার ব্যাবহার ও আমাদের সকলের যত্নশীল হতে হবে।