ভালো নেই ২১আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত পটুয়াখালীতে মামুনের পরিবার
সঞ্জয় ব্যানার্জী, পটুয়াখালী প্রতিনিধি।।
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার আলীপুরা ইউনিয়নের পশ্চিম আলিপুরা গ্রামের দিনমজুর মো. মতলেব মৃধা ও গৃহিনী মোসা. মোর্শেদা বেগমের চার ছেলে-মেয়ের মধ্যে মামুন মৃধার পরিবার ভালো নেই। ছেলেকে ঘিরে অনেক স্বপ্ন ছিল
গোটা পরিবারের। পশ্চিম আলীপুর ব্র্রজবালা রায় মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০০৩সালে এসএসসিতে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়ে ভর্তি হন ঢাকার কবি নজরুল সরকারি কলেজে।
কিন্তু ২১আগস্ট গ্রেনেডে হামলায় চুরমার হয়ে যায় মামুন মৃধার হতদরিদ্র মা-বাবাসহ পরিবারের স্বপ্ন।২১আগস্ট গ্রেনেড হামলায় ঘাতকদের ফাঁসির আদেশ কার্যকর দেখে মরতে চায় নিহত মামুনের বৃদ্ধ মা-বাবা। মা-বাবার একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে অপরাধীদেরফাঁসি কার্যকরের দিন গুনছে গোটা পরিবার। নিহত মামুন মৃধার বাবা ও মায়ের শরীরে দেখা দিয়েছে বিভিন্ন রোগের। এখন তাদের একটাই চাওয়া ঘাতকদের ফাঁসি দেখে আমরা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে পারি।২০০৪সালের ২১আগস্ট ঢাকায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের জনসভায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেখতে আর তার মুখের ভাষণ শুনতে গিয়ে
ঘাতকের গ্রেনেড হামলায় নিহত হন ঢাকার কবি নজরুল ইসলাম কলেজের মেধাবী ছাত্র মামুন মৃধা। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মামুনের পরিবারকে ২০১৪সালের ১৬অক্টোবর ১০লাখ টাকার অর্থ সাহায্য করেছেন। সোনালী ব্যাংক
পটুয়াখালী শাখায় জমা রাখা ওই টাকার মুনাফা দিয়ে তাদের সংসারসহ ঔষুধপত্র চলে। প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় মামুনের মেজ বোনের স্বামীর সমাজকল্যাণ ব্যাংকমতিঝিল শাখায় চাকরিও হয়েছে।নিহত মামুনের বাবা মোতালেব মৃধা বলেন, আমার দেহে নানান রোগে বাসাবেঁধেছে কোন কাজ করতে পারি না। আমার বুকের ধনকে যারা কেড়ে নিয়েছে তাদের ফাঁসি হয়েছে এমন খবর শুনে মরতে পারতাম। এ বিচারটুকু দেখার জন্যই আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে রাখছে। অপরাধীদের বিচার হলে মরেও শান্তি পাব।এদিকে, গ্রেনেড হামলার ১৯তম বার্ষিকী উপলক্ষে দশমিনা উপজেলা আওয়ামী লীগ, মামুন মৃধা স্মৃতি সংসদ ও মামুনের পরিবারসহ বিভিন্ন সংগঠন দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।