চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে গৃহবধূর আত্মহত্যা

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে গৃহবধূর আত্মহত্যা

বাঁশখালী পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডে ছোট মিয়া আবাসিক এলাকায় জমির ভবনের নিচ তলা থেকে ছকিনা বেগম (২৬) নামে গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ছকিনা বেগম বাঁশখালী পৌরসভা নেয়াজর পাড়ার জাফর আলম ও সোনিয়া বেগম এর কন্যা।

নিহত ছকিনার বর্তমান স্বামী পৌরসভাস্থ নোয়াপাড়া এলাকার রাজমিস্ত্রী আনিছ (৩০) পলাতক রয়েছে।রবিবার খবর পেয়ে বাঁশখালী থানা পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছে।বাড়ির মালিক নাজমিন সুলতানা বলেন,ভোরে ছকিনার অসুস্থতার কথা বলে স্বামী আনিছ ডাকলে ছকিনাকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখে দ্রুত চিকিৎসার জন্য নিতে বলি।

গাড়ী আনার কথা বলে বের হয়ে সে পালিয়ে যায়।প্রতিবেশী সুত্রে জানা যায় আনিছ- ছকিনা দম্পতির মধ্যে পারিবারিক কলহ বিদ্যমান ছিল। নিহত ছকিনার মা সোনিয়া বেগম (৫০) জানান, দশ বছর পূর্বে ছকিনাকে পুঁইছড়ি ইউনিয়নের মীরা পাড়ার দুবাই প্রবাসী মো. ইদ্রিস এর সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে দেয়া হয়েছিল।

সেখানে তার শাওন (৯) ও তিশা (৬) নামে দুটি সন্তান রয়েছে। সে ঘরের দুই সন্তান সহ বছরখানেক পূর্বে পালিয়ে এসে আনিছ কে বিয়ে করে ভাড়া বাসায় থাকে। সেই  বাসায় থাকা অবস্থায় প্রতিনিয়ত আমার মেয়েকে তার স্বামী টাকা পয়সার জন্য  মারধর করতো,এমনকি যে বাসায় থাকত সেই বাসার মালিকের বউয়ের সাথে আমার মেয়ের স্বামীর অবৈধ সম্পর্ক ছিল,সেই সম্পর্কের কারণে আজ আমার মেয়ে খুন হয়েছে, আমি এই খুনিদের দৃষ্টান্তমূলও শাস্তির দাবি করছি।

বাঁশখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শুধাংশু চন্দ্ৰ হাওলদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেন এবং লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন নিহতের গলায় হালকা দাগ পাওয়া গেছে,শরীরের অন্যত্র কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।নিহতের ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।মেডিকেল রিপোর্টের পর যদি মার্ডার হয়ে থাকে মার্ডার মামলা দায়ের করা হবে।