ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মাঝে সংঘর্ষে নারী-পুরুষসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যায় ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদি ইউনিয়নের মনসুরাবাদ ও খাপুরা গ্রামের মাঝে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মনসুরাবাদ গ্রামের কয়েকজন কিশোর সাজ্জাদ, জোবায়ের সঙ্গে খাপুরা গ্রামের সুমন পিয়ান ও বায়জিদের সাথে ইফতার করাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতি হয়। সেই জের ধরে ২ গ্রামের মুরুব্বিরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। মনসুরাবাদ গ্রামের নেতৃত্ব দেন আলী মোরশেদ মিঠু ও খাপুরা গ্রামের নেতৃত্ব দেন শেখ জুয়েল। এরা উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ঢাল সরকি টেটা ও ইট পাটকেল নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চালায়। এভাবে প্রায় ঘণ্টাখানে সময় ধরে চলে সংঘর্ষ। তখন উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ জন লোক আহত হয়েছে। আহত পাঁচজনকে ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গুরুতর আহত মওদুদ শেখ ও ইমরান হোসেনকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে বলে ভাঙ্গা হাসপাতালের চিকিৎসক জানিয়েছেন। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে উভয়পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেন।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার সেকেন্ড অফিসার মারুফ হোসেন জানান, পূর্বের শত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়েই সংঘর্ষ ঘটে। এ সময় কয়েকজন ইট পাটকেলে আহত হয়েছেন। বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন রয়েছে। এখনো কোনো পক্ষের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।