রাত পোহালেই ভোট!কালিয়াকৈরে উপজেলা নির্বাচন।(৫০টিরও অধিক কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ) মোট কেন্দ্র ১২৮টি
মোঃ হারুন অর রশীদ .গাজীপুর :
রাত পোহালেই ভোট।দ্বিতীয় দফা উপজেলা নির্বাচনে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ভোটার গণ রাত পোহালেই তারা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।ইতোমধ্যেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীগণ ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন।গতকাল মধ্যরাত হতে প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে।নির্বাচনী সরঞ্জাম চলে এসেছে কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাচন অফিসে।
সেখানে পালা ক্রমে নির্বাচনী সরঞ্জামাদি পাহারা দিচ্ছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।নির্বাচনের দিন সকালে অর্থাৎ২১তারিখ সকালে ব্যালট পেপার সহ অন্যান্য নির্বাচনী সামগ্রী পৌঁছে যাবে সংশ্লিষ্ট ভোটকেন্দ্রে।৯টি ইউনিয়ন ও১টি পৌরসভা নিয়ে কালিয়াকৈর উপজেলা গঠিত।এখানে মোট ভোটার ৩ লক্ষ ৬৩ হাজার ৭শত ৯৪ জন।
কেন্দ্র ১২৮ টি এবং বুথ রয়েছে ৯৩৯টি।এর মধ্যে অর্ধশতাধিক ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানা গেছে। বিশেষ করে ১৫ থেকে ২০টি কেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ ওইসব অধিক ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের বাড়ির খুব কাছাকাছি রয়েছে সুতরাং ওই সকল কেন্দ্রে প্রার্থীদের পক্ষ থেকে প্রভাব বিস্তারের আশঙ্কা রয়েছে।
উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে কালিয়াকৈর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের দু’জন।তার মধ্যে বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন সিকদার তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন,তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে যিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনিও আওয়ামীলীগের নেতা এবং বর্তমান কালিয়াকৈর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম আজাদ।তিনি মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।ইতোমধ্যেই দুই প্রার্থীই কালিয়াকৈর উপজেলার সকল গ্রাম ও মহল্লা চষে বেড়িয়েছেন।
করেছেন গণসংযোগ,উঠান বৈঠক সহ পথসভা এবং মিছিল মিটিং ছাড়াও করেছেন বড় শোডাউন।আনারস প্রতীকের কামাল উদ্দিন সিকদার তিনি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি বলেছেন আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মী সহ সাধারণ ভোটার গণ আনারস প্রতীকে ভোট দিয়ে তাকেই পুনরায় নির্বাচিত করবেন। অপরদিকে মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী সেলিম আজাদ তিনিও শতভাগ জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন,তার প্রতিদ্বন্দ্বী তিনিও আওয়ামীলীগের আমিও আওয়ামী লীগের সুতরাং সকল নেতাকর্মী উনার পক্ষে আছেন বলে যে প্রচারণা চালাচ্ছেন সেটি সঠিক নয় ,মূলত সাধারণ ভোটার গণ সহ এবারের উপজেলা
নির্বাচনে ভোটার গণ মোটরসাইকেল প্রতীকে ভোট প্রদান করে তাকেই অর্থাৎ সেলিম আজাদকেই আগামী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করবেন বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।সেলিম আজাদ আরো বলেন, তার প্রতিপক্ষ ছোটখাটো কিছু হুমকি, ভয়-ভীতি দেখাচ্ছেন,ভোটার গণ সে সব হুমকি ধামকি ভয়ভীতি উপেক্ষা করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটকেন্দ্রে এসে মোটরসাইকেলে ভোট প্রদান করে তাকেই বিজয়ী করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অপরদিকে বিএনপি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা ও ভোট বর্জন করায় এখানে জাতীয় পার্টি বা অন্য কোন দল প্রার্থী না দেয়ায় দু-একজন ভাইস চেয়ারম্যান প্রতিদ্বন্দ্বী ছাড়া বাকি সবাই ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের নেতা-নেত্রী।তবে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে ঘুরে জানা গেছে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে অনেকেরই মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে।