কালিয়াকৈরে সেবা বঞ্চিত দুই পুলিশ ফাঁড়ীর চার ইউপি বাসী
মোঃ হারুন অর রশীদ। গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি:
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক ও ফুলবাড়িয়া এলাকার পুলিশ ফাঁড়ীতে গত ২১ দিন হলেও পুলিশ সেখানে যায়নি। ফলে এই দুই পুলিশ ফাঁড়ীর চার ইউনিয়নের প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রামবাসী পুলিশের সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। তবে ওই সব এলাকার গ্রামবাসী কয়েক কিলোমিটার দুরের কালিয়াকৈর থানায় গিয়ে পুলিশের সেবা গ্রহণ করতে হচ্ছে।
পুলিশের সেবা বঞ্চি মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ীর অধীনে মৌচাক, মধ্যপাড়া ইউনিয়নের আর ফুলবাড়িয়া পুলিশ ফাঁড়ীর অধীনে ফুলবাড়িয়া ও বোয়ালি ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রাম রয়েছে।
এলাকাবাসী, পুলিশ ও ভুক্তভোগিরা জানান, কোটা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় গত ৩তারিখ রাতেই মৌচাক ও ফুলবাড়িয়া পুলিশ ফাঁড়ীতে কর্মরত পুলিশ সদস্যরা থানায় গিয়ে আশ্রয় নেয়। গত ৪ আগষ্টে পুলিশের সাথে ছাত্র জনতার মুখোমুখি সংঘর্ষে শত শত শিক্ষার্থী ও জনতা গুলিবিদ্ধ হয়। পরের দিন ৫আগষ্ট থানায় হামলা ও আগুন ধরিয়ে দেওয়ার আশংকায় পুলিশ ফাঁড়ী ও থানায় কর্মরত সকল পুলিশ রাতের আধাতে পালিয়ে নিরাপদে আশ্রয় নেয়। ফলে উপজেলার সবর্ত্র নিরাপত্তাহীনতা ভুগে সাধারণ মানুষ।
শেখ হাসিনা সরকার পরির্বতনের পর গত ১২ আগষ্ট পুলিশ থানায় কর্মস্থলে যোগদান করে থানার ভিতরে বসে কার্যক্রম শুরু করেন। গত ১২ আগষ্ট থানায় পুলিশ যোগদান করলেও এখন পর্যন্ত দুই পুলিশ ফাঁড়ীতে কোন পুলিশ যোগদান করে পুলিশি কার্যক্রম শুরু করেন নাই। ফলে চার ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষ দ্রুত পুলিশের সেবা না পেয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
পুলিশের সেবা বঞ্চিত গ্রামবাসীরা জানান,সরকার দেশে থানা পুলিশ, শিল্পপুলিশ, হাইওয়ে বা ট্রাফিক পুলিশ, মেট্রোপলিটন পুলিশ, নৌপুলিশ ও টুরিষ্ট পুলিশসহ পুলিশের অনেক বাহিনীর সদস্যরা সব থানা পুলিশ ফাঁড়ীগুলোতে বর্তমান সময়ে দক্ষতার সাথে কাজ করছেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে কালিয়াকৈরের দুই পুলিশ ফাঁড়ী মৌচাক ও ফুলবাড়িয়াতে কোন পুলিশ এখনও অবস্থান করে সেবা কার্যক্রম শুরু না করায় জনমনে ডাকাত আতংকসহ নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।
এলাকার সাধারন মানুষের দাবী দ্রুত ওই দুই পুলিশ ফাঁড়ীতে গিয়ে কাজে যোগদানের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে বর্তমান অর্ন্তবর্তী কালীন সরকারের কাছে জোড় দাবী জানিয়েছেন।এলাকার নিরাপওার স্বার্থে ও জনগনের চাহিদা ও দাবীর মুখে দ্রুত ফাড়ি ও ক্যাম্পে পুলিশি কার্যক্রম চালু করা দরকার।
ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের ফুলবাড়িয়া বাজার এলাকার বাসিন্দা কবির হোসেন ও আরিফ হোসেন বলেন, ফুলবাড়িয়া জরুরী ভিত্তিতে পুলিশ ফাঁড়ী পুলিশ গিয়ে কার্যক্রম শুরু করা দরকার। আমাদের প্রতি রাতে ডাকাত আতংকে পাহাড়া দিতে হচ্ছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমাদের এলাকায় যত তাড়াতাড়ী পুলিশ দেওয়ার জোর দাবী জানাচ্ছি।
মৌচাক এলাকার বাসিন্দা, আব্দুর রাজ্জাক, ফরিদ হোসেন ও আজিজুর রহমান বলেন,আমাদের এলাকার শিল্পাঞ্চল। তাই এখানে শত শত লোকের বসবাস। প্রতিনিয়তই ছোট খঅটো অপরাধ ঘটছে। সেগুলো প্রতিরোধ করতে পুলিশের খুবই প্রয়োজন। থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসতে অনেক সময়ের ব্যাপার। তাই মৌচাক পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশ না থাকলে অনেক সমস্যা। দ্রুত পুলিশ কার্যক্রম চালু করার দাবী জানাই।
কালিয়াকৈর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মোঃ জুবায়ের বলেন, কালিয়াকৈর থানায় পুরোদমে পুলিশের কার্যত্রুম শুরু হয়েছে। মৌচাক ফাড়ির ইনচার্জ বদলী হওয়ার কারণে ফাঁড়িতে কাজ শুরু করতে সময় লাগছে। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দিক নির্দেশনা পেলেই শিঘ্রই ফুলবাড়িয়া পুলিশ ফাঁড়ীর কার্যক্রম শুরু হবে।