২৭ আগষ্ট( মঙ্গলবার) সকাল ১০ টায় রাঙ্গামাটি জিমনেসিয়াম প্রাঙ্গন থেকে সমাবেশ শুরু করে ডিসি অফিসের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়।
বৈষম্য বিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী সমন্বয় কিকো দেওয়ান বলেন,পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশে যখন বন্যায় হাহাকার তখনি বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। পাহাড়ে যদি আরও কোন মা বোনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয় তাহলে ছাত্রসমাজ রুখে দাঁড়াবে, ঘরে বসে থাকবে না। এছাড়াও তিনি সরকারের নিকট ৮ দফা দাবি জানান দাবিগুলো হচ্ছে
১। বাংলাদেশের ১ম ও ২য় শ্রেণির সরকারি চাকরিসহ সকল গ্রেডের চাকরিতে ৫% আদিবাসী কোটা পুনর্বহাল করতে হবে।
২। আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে এবং এনসিটিবি’র পাঠ্যপুস্তকে আদিবাসীদের সঠিক ইতিহাস, কৃষ্টি-সংস্কৃতি ও সাহিত্য ইত্যাদি বিষয়বস্তু অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
৩। “সংঘাত ও বৈষম্যবিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলন”-এর সমন্বয়কদের সাথে আলোচনা করে নির্দলীয়, সৎ ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান ও সদস্য হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা এবং গত বিশ বছরের জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের দুর্নীতি তদন্তপূর্বক যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
৪। অবিলম্বে পাহাড়ের ভুমি সমস্যার সমাধান করতে হবে এবং ১৯০০ রেগুলেশন বহাল রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
৫। পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি পূর্বক আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং জেলা পরিষদের সকল অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
৬। ক্রীড়াঙ্গনে দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা ও মাদকমুক্ত যুব সমাজ গড়তে ক্রীড়া খাতে সরকারি অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে।
৭। পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক সংকট নিরসনের লক্ষ্যে যোগ্য ও দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ প্রদান এবং প্রাথমিক শিক্ষা স্তরে স্ব – স্ব মাতৃভাষায় শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার মানবন্টনে মাতৃভাষা পারদর্শীতা যাচাই করার জন্য একটি অংশ যুক্ত করতে হবে।
৮। পার্বত্য চট্টগ্রামকে সরকারি বা বেসরকারি কোন কর্মকর্তা/কর্মচারীর “পানিশমেন্ট জোন” হিসেবে ব্যবহার বন্ধ করতে হবে এবং চাকরির ক্ষেত্রে পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থানীয়দের পদায়ন নিশ্চিত করতে হবে।দাবিদাওয়া বাস্তবায়নের জন্য অন্তবর্তীকালীন সরকারের নিকট জোর দাবি জানান।
রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী বিশাল চাকমা বলেন,আমরা কোন বাহিনীর বিরুদ্ধে নয় অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছি।এছাড়াও বক্তব্য প্রদান করেন সৃটন চাকমা,উক্রাচিং মারমা, রিপুল চাকমা, সমাজকর্মী বিজ্ঞান্তর চাকমাসহ আরও অনেকে।