তরুণ প্রজন্মদের সাথে নিয়ে নারী ও শিশুকন্যা নির্যাতন প্রতিরোধে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে হবে-উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ
মোঃবিলাল হুসাইন,চিফ রিপোর্টার:
ঢাকা, ২৭ নভেম্বর ২০২৪:
মহিলা ও শিশু বিষয়ক এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেন, নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সচেতনামূলক প্রচারণার অংশ হিসেবে কিশোর- কিশোরী ক্লাবসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের তরুণ প্রজন্মদের সাথে নিয়ে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে হবে ।
নারী ও শিশুকন্যা নির্যাতন প্রতিরোধে সবার অঙ্গীকার করতে হবে যেন সমাজের সবাইকে সাথে নিয়ে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বসবাস করতে পারি। তিনি বলেন, নারী নির্যাতন প্রতিরোধে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত আমাদের সেবা অব্যাহত আছে। নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সেবা সমূহের মধ্যে ১০৯, ৯৯৯ কল সেন্টারে ফোন দিয়ে এবং নারী নির্যাতন সেবা কেন্দ্রে অভিযোগ দিলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আজ মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের উইন্ডি টাউন হলে লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতার বিরুদ্ধে ১৬ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ২০২৪ পালনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ এনডিসি সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কেয়া খান, অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার, বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গউইন লুইস এবং বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় সেশনে কি নোট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর তাসলিমা ইয়াসমিন, মহিলা শিশু ও বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ডক্টর প্রকাশ কান্তি চৌধুরী এ বিষয়বস্তুর উপর প্রস্তাবনা আলোকপাত করেন। অংশগ্রহণকারীরা মতামত ও সুপারিশ তুলে ধরেন।
আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষের এবারের প্রতিপাদ্য -“নারী-কন্যার সুরক্ষা করি, সহিংসতা মুক্ত বিশ্ব গড়ি”।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, নারী ও কন্যা শিশুর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে গণসচেতনতা সৃষ্টি এবং নীতিগত ও সামাজিক ইতিবাচক পরিবর্তন সাধন করা এখন সময়ের দাবি।
১৬ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধপক্ষ-২০২৪ উপলক্ষে গৃহীত কার্যক্রম সমূহ জুলাই বিপ্লব পরবর্তী বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনাপূর্বক মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, সংস্থা, বেসরকারি সংস্থা, ডেভেলপমেন্ট পার্টনার, সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশন, স্যোসাল ওয়ার্কার, যুব ফোরাম, বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত উদীয়মান ইনফ্লুয়েন্সার, শিক্ষার্থী ও সমাজের সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে সম্পৃক্ত করে দেশব্যাপী বিভিন্ন প্রচার- প্রচারণমূলক কার্যক্রমসহ বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করেছে এবং বাস্তবায়নে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।